—প্রতীকী ছবি।
আলাপের শুরু অনলাইনে। টুকটাক কথাবার্তা হতে হতে, মাস তিনেকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে বিমান ধরে সোজা পাকিস্তানে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন বছর তিরিশের মার্কিন যুবক। না, বিদেশি বন্ধুর টানে নয়। গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে ধৃত উইলফ্রেডো ইনকারনাসিয়োঁ নামের ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানে গিয়ে লস্কর-এ-তইবা জঙ্গি দলে নাম লেখানো। এবং প্রশিক্ষণ সেরে ফিরে এসে দেশেই হামলা করা।
ফেডারেল আইনজীবীদের দাবি, ধরা পড়েও বেপরোয়া উইলফ্রেডো। পুলিশকে এখনও তিনি বলে চলেছেন, ‘‘অনেক মানুষ মারতে চাই আমি। গলা কাটব সবার। উড়িয়ে দেব। এক দিন মারবই ঠিক। তাই চাইলে এখনই গুলি করে মারুন আমায়।’’
পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর যে পশ্চিমি দেশেও ডালপালা ছড়াচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই সে আশঙ্কায় মার্কিন গোয়েন্দারা। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা উইলফ্রেডোর বয়ান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিন্তা আরও বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই যুবক আমেরিকারই এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ, সে মার্কিন তরুণ-তরুণীদের জঙ্গি দলে নাম লেখাতে উদ্বুদ্ধ করত। টেক্সাস থেকে মাইকেল কাইলি নামের এক যুবককে সম্প্রতি পাকড়াও করেছে প্রশাসন। এই মাইকেলই পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে উইলফ্রেডোকে মানসিক ভাবে তৈরি করছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আইনজীবীদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জেহাদইনহার্ট’ ‘লায়নঅবদ্যগুড’ নাম নিয়ে উইলফ্রেডো পাকিস্তানেও যোগাযোগ করেন।
জঙ্গিরা পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকে যে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করছে, তা-ও ভাবাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ধৃত যুবকের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি পাকিস্তানে মূলত প্রশিক্ষণের জন্যও যেতে চেয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে লস্কর এঁদের দিয়েই হামলার ছক কষেছিল।’’ টেক্সাসের তরুণ মাইকেলকে জেরা করে আরও তথ্য আদায়ের চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy