Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
International

ব্রিকস মঞ্চে মোদীর চড়া সুর সম্পর্কে এ বার মন্তব্য এড়িয়ে গেল আমেরিকাও

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানকে নরেন্দ্র মোদীর তীব্র আক্রমণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হল না আমেরিকা। ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতানৈক্য মিটিয়ে নিক, পরামর্শ হোয়াইট হাউজের।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৪:১৪
Share: Save:

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তানকে নরেন্দ্র মোদীর তীব্র আক্রমণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে রাজি হল না আমেরিকা। ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতানৈক্য মিটিয়ে নিক, পরামর্শ হোয়াইট হাউজের। গত কয়েক সপ্তাহে সন্ত্রাস এবং ভারত-পাক বিবাদ ইস্যুতে আমেরিকা বার বার স্পষ্ট ভাবে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে। কিন্তু সোমবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র যা বলেছেন, তাতে ওয়াশিংটনের অবস্থানে সামান্য হলেও বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ব্রিকস সম্মেলন শেষ হওয়ার পর চিনা বিদেশ মন্ত্রকও মোদীর চড়া পাকিস্তান বিরোধিতার সমালোচনা করেছে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস-এর শীর্ষ সম্মেলন রবিবার গোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই মঞ্চেও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিরোধ তথা সন্ত্রাসকে অন্যতম মূল আলোচ্য করে তুলে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। সন্ত্রাস ইস্যুতে বার বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে যে রাশিয়া, তারাও কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনে পাকিস্তানকে নিয়ে আলোচনায় কোনও আগ্রহ দেখায়নি। আর চিনা বিদেশ মন্ত্রক সোমবার জানিয়েছে, কোনও একটি দেশ বা ধর্ম বা জাতির নামকে সন্ত্রাসের সঙ্গে জুড়ে দেখানোর নীতিতে বেজিং বিশ্বাসী নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে পাকিস্তানও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে বলে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মন্তব্য করা হয়। তবে ভারতের অস্বস্তি এখন আর শুধু চিনের সেই মন্তব্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মুখপাত্র যে ভাবে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন, তাতেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রাণহানির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ, মসুল দখলে সেনা অভিযানে ইরাক

মোদী ব্রিকস মঞ্চে বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের ধারক ও বাহক (মাদারশিপ অব টেররিজম)।’ মোদীর এই মন্তব্য সম্পর্কে আমেরিকার অবস্থান জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জশ আর্নেস্ট বলেন, ‘‘ বিষয়টি সম্পর্কে আমি ঠিক মতো অবহিত নই। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে গভীর মতভেদ রয়েছে, তা মিটিয়ে নেওয়ার শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজতে আমরা দু’দেশকেই পরামর্শ দিয়েছি।’’

আমেরিকার এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি সন্ত্রাস ইস্যুতে বার বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যে ভাবে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিচ্ছিল আমেরিকা, জশ আর্নেস্টের মন্তব্যে সেই চড়া সুরের অনুপস্থিতি রয়েছে। তা হলে কি ভারতের কূটনৈতিক আক্রমণকে ‘অতিরিক্ত আগ্রাসন’ বলে মনে করছে আমেরিকাও? প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভারতের কূটনীতিক মহলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE