ছবি এএফপি।
ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এখন প্রায় তলানিতে। এর মধ্যেই উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী উপকরণ ‘প্যাট্রিয়ট’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। ইরাক যুদ্ধের সময়েও এই উপকরণ ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। বর্তমানে ইরানের সঙ্গে টানাপড়েন চলাকালীন আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই আব্রাহাম লিঙ্কন নামে যুব্ধবিমান বহনকারী রণতরী উপসাগরীয় এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। কুয়েতে মোতায়েন করা হয়েছে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান। সেই সঙ্গেই পেন্টাগন কাল জানিয়েছে, আরলিংটন নামে আরও একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। খুব শীঘ্রই আব্রাহাম লিঙ্কনের সঙ্গে মার্কিন নৌবহরে যোগ দেবে সেটি। উভচর যুদ্ধযান বহন করতে পারে আরলিংটন।
আচমকা একসঙ্গে এতগুলি যুদ্ধজাহাজ আর বিমান উপসাগরীয় অঞ্চলে কেন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা? পেন্টাগন কালই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমেরিকা যে ওই এলাকার যে কোনও আক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুত’, সেটা দেখানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে পুরোটাই আমেরিকার তৈরি ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে এত দিন উড়িয়ে দিয়েছে ইরান সরকার। যদিও সম্প্রতি ইরানের এক ধর্মীয় নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আমেরিকার মোতায়েন করা নৌবহর একটি ক্ষেপাস্ত্রের মাধ্যমেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম তাদের সরকার।
গত বছর ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে ইরানের উপরে চাপিয়েছিলেন একগাদা নিষেধাজ্ঞার বোঝা। যার জেরে ইরানের অর্থনীতি এমনিতেই ধুঁকছে। গত মাসে ট্রাম্প আবার ইরানের সেনা সংগঠন ‘রেভলিউশনারি গার্ড কোর’কে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেন। যার জেরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এর মধ্যেই গত বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি জানিয়ে দেন, দেশের উদ্বৃত্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে রফতানি বন্ধ করে দেবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy