ওকিনোশিমা দ্বীপের সেই মন্দির।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় তার নাম উঠেছিল গত সপ্তাহেই। জাপানের ওকিনোশিমা দ্বীপে এ বার প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে চলেছে। তবে এখনই নয়। আগামী বছর থেকে।
জাপানের ছোট্ট দ্বীপ ওকিনোশিমা। জাপানের দক্ষিণ-পূর্বের চারটি বড় দ্বীপের অন্যতম কিয়ুসুর উত্তর-পশ্চিম উপকূলে রয়েছে এই ওকিনোশিমা দ্বীপ। প্রাচীন কাল থেকেই বহির্বিশ্বের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ওই দ্বীপপুঞ্জ থেকেই চিন ও কোরীয় ভূখণ্ডের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা রয়েছে। ওকিনোশিমায় রয়েছে একটি মন্দির। নাম মুনাকাতা তাইশা। মহিলাদের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ। কিন্তু ছাড় রয়েছে পুরুষ দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রে। পুরুষরা নগ্ন হয়ে সমুদ্রে স্নান করে তবেই সেখানকার ধর্মস্থানে প্রবেশ করতে পারেন। ওকিনোশিমায় থাকেন এক পুরোহিত। তিনিই ওই দ্বীপে অবস্থিত মন্দিরের দেবীর উপাসক। কয়েক শতাব্দী ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। কিন্তু আগামী বছর থেকে আর জাপানের ওকিনোশিমা দ্বীপে ঢুকতে পারবেন না কোনও দর্শনার্থী। শনিবার এই কথা ঘোষণা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁরাই গোটা ওকিনোশিমা দ্বীপটির দেখভাল করেন। প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীপটি বাঁচাতেই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
আগেও চাইলেই ওই দ্বীপে পুরুষরা প্রবেশ করতে পারতেন না। সব সময়ই সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থীর জন্যই খোলা হতো মন্দির। চলতি বছরে এক উৎসবের সময় মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য ২০০ জন পুরুষ সেখানে ঢুকতে পেরেছিলেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এ ভাবে মানুষ দ্বীপে ঢুকতে থাকলে, খুব শীঘ্রই ওই দ্বীপ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
মন্দিরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরের বছর থেকে পুরোহিত ছাড়া বাকি সকলের জন্য বন্ধ করা হচ্ছে দ্বীপের দরজা। মুখপাত্র বলেন, ‘‘ইউনেস্কো-র তালিকাভুক্ত হওয়ায় দ্বীপের সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। ২০০ জন মানুষ এলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।’’ তবে তিনি জানিয়েছেন, গবেষণা বা সংরক্ষণসংক্রান্ত কাজের জন্য ওই দ্বীপে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy