Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের মেয়েদেরও পাশে চান মালালা

ভারতীয় মেয়েদের জন্যে কাজ করতে চান মালালা ইউসুফজাই। ভারতে আসতে চান তিনি। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এমনটাই জানালেন শান্তির নোবেলজয়ী তরুণী।

মালালা ইউসুফজাই

মালালা ইউসুফজাই

সংবাদ সংস্থা
দাভোস শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৬
Share: Save:

ভারতীয় মেয়েদের জন্যে কাজ করতে চান মালালা ইউসুফজাই। ভারতে আসতে চান তিনি। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এমনটাই জানালেন শান্তির নোবেলজয়ী তরুণী।

স্কুল যাওয়ার ‘অপরাধে’ পাকিস্তানের এই কিশোরীর মাথায় গুলি করে তালিবান জঙ্গিরা। সেটা ২০১২ সাল। দমানো যায়নি। মালালা এখন অক্সফোর্ডের ছাত্রী। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তির দূত। তালিবানি অত্যাচারের বিরুদ্ধে, মেয়েদের অধিকার আদায়ের জন্য গুলমকাই নামে ব্লগ লেখেন। বিশ্ব জুড়ে মেয়েদের শিক্ষার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ‘মালালা ফান্ড’ তৈরি করেছেন। দাভোসের মঞ্চে এসে সেই তহবিলের জন্য দরবার করলেন।

মালালার মতে, ভারত আর পাকিস্তানে মেয়েদের সমস্যা মোটামুটি একই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্ত সমস্যা বিশদে জানা ও সমাধানের পথ খোঁজার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। ভারত থেকে প্রচুর চিঠি পান মালালা। ছোট্ট একটি মেয়ের লেখা চিঠির কথা শুনিয়েছেন তিনি। মালালা বলেন, ‘‘মেয়েটি লেখেছে, সে বড় হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চায়। আর আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তার পরে, দু’জনে আলোচনা করে দু’দেশেই শান্তি নিয়ে আসব।’’ ভবিষ্যত প্রজন্মের মেয়েদের দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে এই আগ্রহ ভাল লেগেছে মালালার।

ভারতীয় সিনেমা দেখে এ দেশের অনেক কিছু জেনেছেন তিনি। হিন্দিও শিখেছেন। বিশ্বাস করেন, পরস্পরের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ থেকে দু’দেশেরই শেখার আছে। মালালা বলেন, ‘‘ভারত আর পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে হলে দু’দেশের মেয়েদের গুরুত্ব দিতে হবে। ওরাই ভবিষ্যৎ। লক্ষ লক্ষ মেয়েকে শিক্ষার থেকে দূরে রেখে কী ভাবে সুন্দর ভবিষ্যত সম্ভব? প্রতিটি মেয়ের পড়াশোনা এক সুতোয় গাঁথা। এ ভাবেই মেয়েদের ক্ষমতায়ন সম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE