ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উন।
ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়্যাং বলছে, কাল সন্তোষজনক ‘চুক্তি’ হয়েছে সেন্টোসায়। বাকি বিশ্বেরও মোটামুটি তাই মত। পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের ভাই শাহবাজ় শরিফ আরও এক ধাপ এগিয়ে বললেন, ‘‘এ বার শান্তিস্থাপনের লক্ষ্যে নতুন করে কথা শুরু করা উচিত ভারত-পাকিস্তানেরও।’’
পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে শুধু সোল নয়, ওয়াশিংটনের সঙ্গেও সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিল পিয়ংইয়্যাংয়ের। বরফ গলতে শুরু করে চলতি বছরের গোড়া থেকে। প্রথমে দুই কোরিয়ায় শান্তিস্থাপনের ইঙ্গিত। তার পরে কাল ট্রাম্প-কিমের কথা। আজ পিএমএল(এন) নেতা শাহবাজ় টুইট করেন, ‘‘হুঁশিয়ারি থেকে সরে ওরা যদি এক টেবিলে বসতে পারে, আমরা পারব না!’’
পাকিস্তান কি তা হলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চাইছে? বিতর্ক জুড়ল শাহবাজ়ের টুইটের পরবর্তী অংশে। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীর দিয়েই তো আলোচনা শুরু হতে পারে। ওখানকার মানুষ ভারতের দখলদারি কোনও ভাবেই মানে না।’’ মৈত্রীর মোড়কে এ ভাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গ খাড়া করে তিনি বিতর্ক উস্কে দিলেন বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
অনেকে আবার এতে ভোটের ছায়াও দেখছেন। ২৫ জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। শাহবাজ়ই এখন শাসক দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তাই কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরুর কথা বলে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা তুলে চাইছেন বলে মত অনেকের। অন্য একটি টুইটে শাহবাজ় অবশ্য এ দিন আফগানিস্তানেও শান্তি প্রতিষ্ঠার আর্জি জানিয়েছেন।
এ দিকে, আজ ট্রাম্প একহাত নিয়েছেন তাঁর সমালোচকদের। তাঁর কথায়, ‘‘এক বছর আগে পণ্ডিতরা বলতেন, তোমরা যুদ্ধ কোরো না। যাও গিয়ে দেখা করো। এ বার যখন আমরা দেখা করলাম, তখন তাঁরাই বলছেন— এই সাক্ষাৎ অনুচিত!’’
তবু বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই— কে জিতল? মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ বলছেন, ‘‘ডিলমেকার হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি আরও পোক্ত হল ট্রাম্পের। সঙ্গে বাড়তি লাভ— কিছু দিন অন্তত মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত নিয়ে আর কোনও কথা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy