প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকের মতো হোয়াটসঅ্যাপেরও তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে! এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের ‘জটিল’ কোড ভেঙে নাকি ইউজারদের তথ্য জানতে সক্ষম হয়েছে চ্যাটওয়াচ নামের এক বিশেষ অ্যাপ। সম্প্রতি এরকমই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল ‘হোয়াটসঅ্যাপ’-এর তথ্য সুরক্ষা নিয়ে। শনিবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিল হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ-এর দাবি, তথ্য ফাঁস নিয়ে চ্যাটওয়াচ নামে যে অ্যাপের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, তা ঠিক নয়। ব্যবহারকারীদের খুব সামান্য তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ সংগ্রহ করে থাকে। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রতিটি মেসেজ ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড’ অর্থাৎ সুরক্ষিত। ‘‘আপনার বন্ধু বা পরিবারের কাউকে করা কোনও মেসেজে আমরা আড়ি পাতছি না,’’ বলেন হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র।
হোয়াটসঅ্যাপেরও মালিকানা ফেসবুকের। ২০১৪ সালে এই মালিকানা হস্তান্তর হয়। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রাহক সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। তার মধ্যে ভারতীয় গ্রাহক রয়েছেন ২০ কোটি। ফেসবুকের তথ্য ফাঁস নিয়ে এখন তোলপাড় গোটা দুনিয়া। ঠিক তখনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, চ্যাটওয়াচ নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে গোপনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের কথাবার্তায় আড়ি পাতা হচ্ছে। ওই অ্যাপের সাহায্যে হোয়াটসঅ্যাপের কনট্যাক্ট লিস্টে উঁকি মারতে পারবেন যে কেউ। কে কতক্ষণ কার সঙ্গে কথা বলছেন, বা সাধারণত কতটা সময় সে হোয়াটস অ্যাপ করেন, তা-ও জেনে ফেলা যাবে সহজেই।
আরও পড়ুন: জুকেরবার্গকে বিঁধতে তৈরি মার্কিন কংগ্রেস
এমনকী ওই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী কখন ঘুমতে যান বা ক’টার সময় ঘুম থেকে ওঠেন, তা-ও নাকি জেনে দিতে পারে অ্যাপটি। অনলাইন হোক কিংবা অফলাইন, প্রযুক্তির ফাঁক গলে ঠিক সেঁধিয়ে পড়ছে চ্যাটওয়াচ। এর পরই হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছিল বিশ্বজুড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy