বেজিংয়ের মঞ্চে বিল গেটস। ছবি: এপি।
পৃথিবীর ধনীতম মানুষ তিনি। ভাঁড়ারে উপচে পড়ছে কুবেরের ধন। কোথায় দামি ঘড়ি বা রত্নখচিত আংটি শোভা পাবে আঙুলে, তা নয় হাতে মলভর্তি বয়াম তুলে নিলেন বিল গেটস। সেই নিয়েই কয়েক শো মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। বক্তৃতা করলেন।
ভারতে স্বচ্ছ অভিযান চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘরে ঘরে শৌচালয় গড়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পড়শি দেশ চিনে অবশ্য তা বহুদিন আগেই শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে শৌচালয় নির্মাণেই শুধু থেমে থাকেনি তারা। বরং বাথরুমে নতুন নতুন প্রযুক্তি বসিয়েছে। শুরু করেছে ‘টয়লেট বিপ্লব।’
এমনিতে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে মিলে তৈরি করেছেন ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।’ চিনের এই ‘টয়লেট বিপ্লব’ নিয়ে মঙ্গলবার বেজিংয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিল গেটস।
আরও পড়ুন: মুণ্ড ছাড়াই দেড় বছর বেঁচেছিল এই মুরগি!
হাতে মলভর্তি একটি বয়াম নিয়ে মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠেন তিনি। ডায়াসের উপর সেটি রেখে কথা শুরু করেন। বলেন, ‘‘সাফ এবং জীবাণুমুক্ত শৌচালয় না থাকলে মহামারি দেখা দেবে। এমনিতেই খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি আমরা। প্রগতিশীল দেশগুলিতে প্রতিবছর ডায়ারিয়া, কলেরা এবং টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ৫ বছরের কম বয়সী ৫ লক্ষ শিশুর মৃত্যু হয়। সকলের জন্য শৌচালয় নির্মাণ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদান বলতে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানই বুঝি আমরা। এ বার তাতে জায়গা পাক শৌচালয়ও। এ ব্যাপারে যথেষ্ট উন্নতি করেছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিন। স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে তারা।’’
স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তুলতে এর আগেও নানা চমক সৃষ্টি করেছেন বিল গেটস। ২০০৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি প্রযুক্তি সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে সম্মেলন কক্ষে মশা ছেড়ে দেন তিনি। তাতে সকেলই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে জানা যায়, মশাগুলি জীবাণুমুক্ত ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy