প্রেমিককে খুন করে তারই মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করল মহিলা। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল প্রেমিক। প্রতিশোধ নিতে তাকে খুন করল প্রেমিকা। পরে মৃতদেহ থেকে মাংস কেটে বিরিয়ানি রান্না করে প্রতিবেশীদের খাওয়াল। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই মহিলার মানসিক সুস্থতা যাচাই করতে ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। তারপরই মহিলার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ঘটনা। এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছর ধরে সম্পর্ক ছিল আদতে মরক্কোর বাসিন্দা ওই মহিলার। আবু ধাবির আল এইনের বাড়িতে দু’জনে লিভ-ইনও করত। কিন্তু সম্প্রতি মরক্কো নিবাসী অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিল। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। রাগে প্রেমিককে খুন করে ওই মহিলা।
কিন্তু দেহ লোপাট করা নিয়ে সমস্যায় পড়ে। এক বন্ধুর কাছে সাহায্য চেয়েছিল প্রথমে। কিন্তু গোটা ঘটনা জানতে পেরে পিছিয়ে যায় সে। উপায় না দেখে প্রেমিকের মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে ওই মহিলা। মিক্সার গ্রাইন্ডারে ভাল করে পিষে নেয়। তার পর তা দিয়ে তৈরি করে সৌদি আরবের জনপ্রিয় পদ মাকবুজ, ভারতে যা বিরিয়ানি হিসাবে প্রসিদ্ধ।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে পুরসভায় ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: ‘ঈশ্বর আমি মরতে চাই না’, মৃত্যুর আগে লিখে গিয়েছিলেন চাউ
রান্নার পর প্রথমে এলাকায় কর্মরত কিছু পাকিস্তানি ঠিকা শ্রমিককে ডেকে খাওয়ায় সে। কিছুটা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলি করে আর বাকিটা রাস্তার কুকুকরদের খাইয়ে দেয়। মানুষের মাংস পেটে যাচ্ছে এমনটা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। তার কিছুদিন পর ওই মহিলার বাড়িতে এসে হাজির হয় তার প্রেমিকের দাদা। ভাইয়ের খোঁজ করেন তিনি। তাঁকে ওই মহিলা জানান, ঝগড়া হওয়ায় মাস খানেক আগেই প্রেমিককে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ নেই। ভাইয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় যান ওই ব্যক্তি।
পুলিশ এসে মহিলার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেই সময় মিক্সার গ্রাইন্ডারের ভিতর থেকে একটি মানুষের দাঁত উদ্ধার হয়। ডিএনএ পরীক্ষা করলে সেটি নিহত যুবকের বলে জানা যায়। তার পরই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছেন তিনি। তবে নেহাত রাগের মাথায় গোটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন। কীভাবে প্রেমিককে খুন করেছেন তাও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। তবে আল ইন পুলিশের তরফে তা প্রকাশ করা হয়নি। ওই মহিলা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy