Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

চালু হল দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু

৫৬,৫০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি এই সেতু মোট ১১টি শহরকে ছুঁয়ে যাবে, যেখানে বাস করেন প্রায় সাড়ে ছ’কোটি মানুষ।

উদ্বোধন: আলোয় সেজেছে হংকং-জুহাই-ম্যাকাও সেতু। ছবি: এপি

উদ্বোধন: আলোয় সেজেছে হংকং-জুহাই-ম্যাকাও সেতু। ছবি: এপি

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৯
Share: Save:

সমুদ্রের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। চিনের সঙ্গে সেটিই জুড়েছে হংকং আর ম্যাকাওকে। আজ বিশ্বের দীর্ঘতম সেই সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।

দক্ষিণ চিনের জুহাই শহরে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হংকং ও ম্যাকাওয়ের দুই নেতা ক্যারি ল্যাম ও ফারনেন্ডো চুই। প্রেসিডেন্ট চিনফিং যখন উদ্বোধনী ঘোষণা করছেন, জায়ান্ট স্ক্রিনে তখন দেখানো হচ্ছে নতুন সেই সেতু। চিনা প্রেসিডেন্টের বক্তৃতা শেষ হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা অডিটোরিয়াম।

৫৬,৫০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি এই সেতু মোট ১১টি শহরকে ছুঁয়ে যাবে, যেখানে বাস করেন প্রায় সাড়ে ছ’কোটি মানুষ।

আগামী কাল সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে ওই সেতু। যদিও ম্যাকাও বা হংকংয়ের সাধারণ মানুষ চাইলেই সেতুটি ব্যবহার করতে পারবেন না। চার চাকা ব্যবহারকারীদের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। তবে পর্যটকদের জন্য থাকবে বিশেষ শাটল বাসের ব্যবস্থা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, যাঁরাই সেতু ব্যবহার করুন না কেন, তাঁদেরই গুনতে হবে মোটা অঙ্কের টোল ট্যাক্স। এই সেতু খুলে গেলে গোটা চিনের যান পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক মসৃণ হবে বলে দাবি পরিবহণ মন্ত্রকের। বলা হচ্ছে, আগে সড়ক পথে যে জায়গা যেতে তিন ঘণ্টা লাগত, সেই সময়টাই এখন কমে তিরিশ মিনিট লাগবে।

ন’বছর ধরে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে এই ‘সি ক্রসিং ব্রিজ’ (সমুদ্র সেতু) তৈরি করেছে চিন সরকার। ভূমিকম্প এবং ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব আটকাতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এতে। ব্যবহার করা হয়েছে চার লক্ষ মেট্রিক টন ইস্পাত, যা দিয়ে নাকি ৫৫টি আইফেল টাওয়ার তৈরি করা যাবে। পার্ল নদীর উপর প্রায় তিরিশ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে সেতুটির। জাহাজ চলাচলের রাস্তা খোলা রাখতে তাই সেতুটির প্রায় সাড়ে ছ’কিলোমিটার অংশ সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।

তবে এই সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে চিনের সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর। সেতু তৈরির সময় মোট ১৮ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। চিন সরকার শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কোনও ব্যবস্থা রাখেনি বলে নিন্দার ঝড় উঠেছিল এক সময়। সমালোচকদের আরও বক্তব্য, এই সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হওয়ায় হংকং আর ম্যাকাওয়ের মতো স্বশাসিত অঞ্চলগুলির উপরে বেজিংয়ের হস্তক্ষেপ করতে আরও সুবিধে হবে।

সেতুবন্ধন

• ৩৪ মাইল দীর্ঘ। জলের তলায় চার মাইল টানেল

• ১৪ মাইলের মূল অংশে খরচ ৭০০ কোটি ডলার।

• তৈরি করতে ৯ বছর। লেগেছে ৪ লক্ষ টন ইস্পাত। মারা গিয়েছেন ১৮ জন নির্মাণ কর্মী

• সাদা ডলফিনদের ক্ষতির আশঙ্কা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE