Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পাঁচ কোটি বছরের পুরনো ফসিল স্পার্ম!

গাছের আঠায় আটকে থাকা একটি ছোট্ট মশা। তার শরীরে থাকা কয়েক ফোঁটা রক্ত। সেখান থেকে ডিএনএ বার করে জুরাসিক পার্কের কল্পবিজ্ঞান আস্ত ডাইনোসর বানিয়ে ফেলেছিল। তা হলে পাঁচ কোটি বছর আগের কয়েক ফোঁটা বীর্য থেকে কী হতে পারে?

‘সুইডিশ মিউজিয়াম অব ন্যাচেরাল হিস্ট্রি’-র সৌজন্যে।

‘সুইডিশ মিউজিয়াম অব ন্যাচেরাল হিস্ট্রি’-র সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ১৬:৫৭
Share: Save:

গাছের আঠায় আটকে থাকা একটি ছোট্ট মশা। তার শরীরে থাকা কয়েক ফোঁটা রক্ত। সেখান থেকে ডিএনএ বার করে জুরাসিক পার্কের কল্পবিজ্ঞান আস্ত ডাইনোসর বানিয়ে ফেলেছিল। তা হলে পাঁচ কোটি বছর আগের কয়েক ফোঁটা বীর্য থেকে কী হতে পারে?

কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তবে এই প্রশ্নটি উঠেছে জীবাশ্মবিদ বেঞ্জামিন বোমফ্লেউর-এর দৌলতে। ‘সুইডিশ মিউজিয়াম অব ন্যাচেরাল হিস্ট্রি’-র এই গবেষক এবং তাঁর সঙ্গীরা আন্টার্টিকা থেকে কিছু গুটির জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। সেখানেই এই বীর্যের সন্ধান মিলিছে জানিয়েছেন তাঁরা। ‘বায়োলজি লেটার্স’ জার্নাল-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় সেই কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পাঁচ কোটি বছরের পুরনো এই বীর্যই পৃথিবীর মধ্যে প্রাচীনতম।

কেঁচো, জোঁকের মতো প্রাণীরা গুটির মতো আচ্ছাদনের ভিতরে থাকার সময়ে ডিম ও বীর্য ছাড়ে। গুটির মধ্যে সেই বীর্য বা ডিম থেকে যেতে পারে। যেমন থেকে গিয়েছে আন্টার্টিকা থেকে পাওয়া গুটির জীবাশ্মে। বেঞ্জামিন বোমফ্লেউর জানিয়েছেন, আন্টার্টিকায় পাওয়া পাঁচ কোটি বছরের পুরো গুটিগুলিকে অতিশক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সামনে ধরে এর দেওয়ালে বীর্য কোষের মতো দেখতে কিছু সন্ধান পাওয়া যায়। সেই বীর্য কোষের সুস্পষ্ট লেজও দেখা যাচ্ছে। পরে দেখা যায় ওগুলি বীর্যের জীবাশ্ম। এরকম আরও বীর্যযুক্ত গুটি পাওয়া যেতে পারে। তবে আপাতত ডাইনোসরের মতো কোনও জীব নয়, এই ধরনের নমুনা থেকে কেঁচো বা জোঁক জাতীয় প্রাণীর বিবর্তনের সম্পর্কে আরও স্পষ্ট করে জানা যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE