এভাবেই ঝুলতে ঝুলতে হাজার ফুট উপর থেকে নামেন গারস্কি।
তিনি বেঁচে আছেন এখনও! যেন ভাবতেই পারছিলেন না। চোখটা খুলে তাই একবার পরখ করে নিলেন নিজেকে। না, তবে এ যাত্রায় বোধহয় মৃত্যুকে হার মানাতে পেরেছেন। তবে দু’মিনিট আগের ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরতেই গোটা শরীর যেন ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল তাঁর।
মাটি থেকে অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়ালেন। বাইসেপ কেটে তখন ঝরঝর করে রক্ত বেরোচ্ছিল। টের পেলেন হাতের কব্জিটায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। ককিয়ে উঠলেন যন্ত্রণায়। বললেন, “যে ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটল, সেটা বলার জন্যই হয়তো বেঁচে ফিরলাম।”
সুইত্জারল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ক্রিস গারস্কি। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস-এর মধ্যে প্যারাগ্লাইডিং তাঁর খুব পছন্দের। সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই স্পোর্টসের মজা নিতে। কিন্তু মজা যে সাক্ষাত্ মৃত্যুর মুখে টেনে নিয়ে যেতে পারে সেটা আন্দাজ করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: চিনের এই ভয়ঙ্কর বালিঝড় দেখে আপনারও মনে হবে এ যেন পৃথিবীর শেষ দিন!
আরও পড়ুন: ইউএফও থেকে ঘূর্ণিঝড়, ককপিট থেকে যে সব বিচিত্র জিনিস দেখতে পান
গাইড প্রস্তুত হয়েইছিলেন। হেলমেট, সেফটি বেল্ট পরে গারস্কিও প্রস্তুত। যেন তর সইছিল না! কখন উড়বেন তিনি আকাশে, নৈসর্গিক এক দৃশ্য উপভোগের আশায় ছটফট করছিলেন গারস্কি। গাইডের সঙ্গে তিনি প্যারাগ্লাইডের মেটাল বারটা ধরেন। এর পর দু’জনেই উড়তে শুরু করেন। ওড়ার পরই গাইড বুঝতে পারেন মারাত্মক একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হবার হয়ে গিয়েছে। ওড়ার সময় গাইড গারস্কিকে সেফটি বেল্ট পরিয়ে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁকে নিজের সঙ্গে বেঁধে নেননি। ফলে ওড়ার পরই প্যারাগ্লাইডের বার ধরে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে। এক দিকে হু হু বেগে কয়েক হাজার ফুট উঁচু থেকে নামছিল প্যারাগ্লাইডটা, যতই মাটির কাছে পৌঁছচ্ছিল ততই তাঁর মনে হচ্ছিল এই বুঝি সব শেষ। গাইডকে দেখা যায় তাঁকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারেননি। একটা সময় গারস্কির একটা হাতও ফস্কে যায়। পড়ে যাচ্ছিলেন প্রায়। সঙ্গে সঙ্গে গাইডের পা ধরে ফেলেন। ওই অবস্থায় মাটিতে নেমে আসেন তাঁরা। তবে দু’জনেই বেঁচে গিয়েছেন। গোটা ঘটনাটিক্যামেরাবন্দি হয়েছে। মাত্র ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy