Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অভিজিত্‌ খুনের তদন্তে ঢাকায় এফবিআই

লেখক অভিজিত্‌ রায় খুনের তদন্তে সহযোগিতার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একটি দল। এ দিন দুপুরে এফবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল ঢাকায় পুলিশের সদর দফতরে গিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০১:২২
Share: Save:

লেখক অভিজিত্‌ রায় খুনের তদন্তে সহযোগিতার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের একটি দল। এ দিন দুপুরে এফবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল ঢাকায় পুলিশের সদর দফতরে গিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য নমুনা এফবিআইয়ের প্রতিনিধিদের দেখানো হয়েছে।

চার-পাঁচ বছর ধরেই মৌলবাদী জঙ্গিরা মুক্তচিন্তার লেখক অভিজিত্‌কে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। অভিজিত্‌ মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে সে দেশে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি একুশে বইমেলায় নিজের দু’টি বই প্রকাশ উপলক্ষে স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিজিত্‌ ও তাঁর স্ত্রী যখন মেলা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। অভিজিত্‌ খুন হন, মারাত্মক জখম হন তাঁর স্ত্রী বন্যা। আনসারুল্লা বাংলাদেশ নামে একটি মৌলবাদী সংগঠন অভিজিতের খুনের দায় স্বীকার করে ট্যুইটারে উল্লাস করে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের দফতরের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহল এই খুনের নিন্দায় সরব হয়েছে। অভিজিত্‌ মার্কিন নাগরিক হওয়ায় তাঁর খুনের তদন্তে সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় সে দেশের প্রশাসন। অভিজিতের বাবা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অজয় রায়ের আর্জি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এফবিআইয়ের সহযোগিতা নিতে রাজি হন। তার পরে এ দিনই এফবিআইয়ের চার গোয়েন্দা ঢাকায় এসে কাজ শুরু করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

abhijit roy bangladesh terrorist fbi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE