Advertisement
E-Paper

এঁরাও অলিম্পিক্সে গিয়েছিলেন, ফিরতে হল ট্রেনের মেঝেতে!

দেশের দুই প্রান্তে ঠিক বিপরীত দুই দৃশ্য। কিন্তু, জানতে পারল না কেউ। কেউ চড়লেন বিএমডব্লু, আবার কারও ভাগ্যে ট্রেনের সিটটুকুই জুটল না! রিও থেকে ফিরেছিলেন ওরা। ওরা মানে ভারতীয় মহিলা হকি দল।

ভারতীয় মহিলা হকি দল।

ভারতীয় মহিলা হকি দল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ১৬:৫১
Share
Save

দেশের দুই প্রান্তে ঠিক বিপরীত দুই দৃশ্য। কিন্তু, জানতে পারল না কেউ।

কেউ চড়লেন বিএমডব্লু, আবার কারও ভাগ্যে ট্রেনের সিটটুকুই জুটল না!

রিও থেকে ফিরেছিলেন ওরা। ওরা মানে ভারতীয় মহিলা হকি দল। ঠিক যে ভাবে ফিরেছিলেন সিন্ধু, সাক্ষী, দীপারা। তেমন ভাবেই। তবে কৃতিত্বটা হয়তো বেশ কিছুটা বেশি ছিল সিন্ধুদের। যখন তাঁদের নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ, ঠিক তার আগে দেশের অন্য প্রান্তে বিড়ম্বনার শিকার ভারতীয় মহিলা হকি দলের প্লেয়াররা। ৩৬ বছর পর যাঁরা অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।

বিএমডব্লুর সামনে দাঁড়িয়ে সাক্ষী, সিন্ধু, দীপা ও গোপীচন্দ। সঙ্গে সচিন।

রিও থেকে দিল্লি হয়ে সব অ্যাথলিটরা ফিরছিলেন যে যাঁর বাড়িতে। তাঁদের কারও হাতে ছিল পদক, কেউ বা পদকের খুব কাছে পৌঁছেও ব্যর্থ। ধানবাদ-আলেপ্পি এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা হকি দলের চার প্লেয়ার। দল কবে ফিরবে জানা ছিল না। তাই আগে থেকে রিজার্ভেশন করানো ছিল না। ভেবেছিলেন, কোনও ভাবে টিটিইকে বলে সিটের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু, তেমনটা হয়নি। চার জনই রেলে চাকরি করেন বলে, আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তাঁরা। কিন্তু দীপা গ্রেস এক্কা, মনিতা টোপ্পো, সুনীতা লাকরা ও লিলিমা মিঞ্জের শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়েছিল সেই ট্রেনে। কিন্তু কোনও আসনে নয়, ট্রেনের মেঝেতে। পরে সুনীতা বলেন, ‘‘আমরা টিটিইকে বার বার বলা স্বত্ত্বেও তিনি আমাদের সিট দেননি। এক ঘণ্টা নীচে বসে কাটানোর পর আমাদের বার্থ দেওয়া হয়।”

হয়তো পদক পাননি সুনীতারা। হয়তো জিততে পারেননি একটি ম্যাচও। তবুও বিশ্বের দরবারে, অলিম্পিক্সের মতো আসরে ভারতীয় মহিলা হকি এত বছর পর নিয়ে গিয়েছিলেন তো এঁরাই। তাঁদের কি এটুকু সম্মান প্রাপ্য ছিল না? প্রশ্ন উঠছে দেশ জুড়ে। যখন বাকিদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ, রাজ্য থেকে দেশ সবাই মাতছে রিওয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে। তখন অলিম্পিক্সে খেলে ফেরা ভারতীয় হকি দলের চার প্রতিনিধিকে রিও থেকে ফিরে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হল ট্রেনের মেঝেতে বসে!

যখন ভারতের খেলার উন্নতিতে তৈরি হচ্ছে নতুন টাস্ক ফোর্স। যখন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের খেলাধূলোর উন্নতি নিয়ে ভাবছেন, ঠিক তখনই ভারতীয় অ্যাথলিটদের এই অপমান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এখনও অনেকটাই বদলাতে হবে নিজেদের। বদলাতে হবে মানসিকতা। এক দিন আগেই যে কথা জোর গলায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও খবর

‘ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক’

Hockey India Women Rio Olympic

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}