একই সময় শুরু করেছিলেন দু’জন। সচিন তেণ্ডুলকর আর বিনোদ কাম্বলি। স্কুল ক্রিকেট থেকে উঠে এসে খুব কম বয়সে দু’জনেই ঢুকেছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু একজন আজ খেলা ছেড়ে দিলেও বিরাজ করছেন আধুনিক ক্রিকেটের সম্রাট হয়েই। অন্যজন হারিয়ে গেছেন। বিনোদ কাম্বলির কেরিয়ার শুরু হতে না হতেই যেন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কপিলদেব কিন্তু মনে করেন সচিন আর বিনোদ সমান প্রতিভাবান ছিলেন। ‘‘...হতে পারে বেশিই ট্যালেন্ট ছিল কাম্বলি’’, বললেন কপিলদেব। তাঁর মতে, একজন ক্রিকেটারের জীবনে প্রতিভাটাই শেষ কথা নয়। পারিবারিক সাপোর্ট বিশাল ভূমিকা পালন করে সেখানে।
পুণে ইন্টারন্যশনাল স্পোর্টস এক্সপোয় বেশ কয়েকজন সফল ক্রীড়াবিদের বাবা, মাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। কপিল বলেন, ‘‘এক সঙ্গে, এক স্কুল থেকে, একইরকম প্রতিভা নিয়ে শুরু করেছিল সচিন আর কাম্বলি। হয়ত বা কাম্বলিরই বেশি প্রতিভা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে সেটা আমরা জানি। সচিনের কেরিয়ার ২৪ বছরের। এবং নিজের শুরুর কেরিয়ারের সাফল্য ধরে রাখতে না পেরে স্রেফ উধাও হয়ে যায় অন্যজন।’’
কপিলের মতে, ‘‘ট্যালেন্ট এক জিনিস, কিন্তু একজন ক্রীড়াবিদের আরও অনেক কিছু লাগে। সহযোগিতা দরকার বন্ধুবান্ধব, বাবা, মা, ভাই, বোন, স্কুল, কলেজ সবকিছুর থেকে’’।
ছেলেমেয়েদের উপর নিজেদের ইচ্ছে চাপিয়ে না দিতেও অভিভাবকদের পরামর্শ দেন কপিল। ‘‘বাবা, মাদের উচিত ছেলে বা মেয়েকে বেড়ে ওঠার সুযোগটুকু করে দেওয়া। তাঁদের কাজ ছেলেমেয়েকে মাঠ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। বাচ্চারা কী করবে এবং কী শিখবে সেটা ওদের উপরই ছেড়ে দিন’’- বলেন কপিলদেব।
আরও খবর
অলিম্পিক্সে খেলতে চলল মা ও ছেলে, এই প্রথম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy