দিয়েগো মারাদোনার হ্যান্ড অফ গডের পর হয়তো রাখা হবে এই পেনাল্টি গোলকে। অভিনব পেনাল্টির তালিকায় চলে গিয়েছে লা লিগার এই গোল। কে জানত পেনাল্টি শট নিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটাবেন স্বয়ং লিওনেল মেসি? রবিবার লা লিগার ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তখন বাকি আর ২০ মিনিট। মেসি দাঁড়িয়ে তাঁর জীবনের আরও একটি মাইল স্টোনের সামনে। লা লিগায় ৩০০ গোল হয়ে যায় এই গোলটি করতে পারলে। কিন্তু তিনি তা করলেন না। পেনাল্টি শট নিতে গেলেন মেসি, গোল ছেড়ে এগিয়ে এলেন সেল্টা ভিগোর গোলরক্ষক। সঙ্গে সঙ্গেই মেসির ছোট্ট টোকা ডানদিকে। মেসি দৌঁড় শুরু করতেই ততক্ষণে পিছন থেকে উঠে এসেছিলেন লুই সুয়ারেজ। কেউ খেয়ালই করেননি। মেসির টোকায় বল পেয়ে গেলেন সুয়ারেজ। গোলকিপার তখন মেসিকে লক্ষ্য করে বেড়িয়ে এসেছেন। সুয়ারেজের সামনে ফাঁকা গোল। সহজেই সেই বল গোলে ঠেলে হ্যাটট্রিকটাও সেরে ফেললেন সুয়ারেজ। এই ঘটনা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। হতবাক হয়ে যায় গ্যালারিও। তার পরই উচ্ছ্বাসে ফেঁটে পরে।
পরে অবশ্য জানা গেল এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। খোলসা করলেন স্বয়ং নেইমার। অনুশীলনে নাকি এমনটাই প্ল্যান করা হয়েছিল। আর এই পরিকল্পনার কথা দলের সকলেও জানতেন না। যদিও প্ল্যানের অংশ সুয়ারেজ না ছিলেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমরা অনুশীলন করেছিলাম। মেসির সঙ্গে অনুশীলনে আমি ছিলাম। কিন্তু লুই কাছে ছিল তাই গোলটা ও করেছে। কে গোল করেছে সেটা বড় প্রশ্ন নয়। ভাল ঘটনা হল পরিকল্পনা কাজে লেগেছে।’’ প্রাক্তন বার্সা তারকা জন ক্রুয়েফ অতীতে এমন ঘটিয়েছিলেন। বার্সেলোনা কোচ লুই এনরিকে ক্রুয়েফের সেই গোলের কথা মনে করে বলেন, ‘‘আমাদের সবার ক্রুয়েফের গোলের কথা মনে আছে। আমিও চেয়েছিলাম সেরকম কিছু মাঠে করতে। কেউ এটা পছন্দ করবে, কেউ করবে না। তবে আমরা মাঠে নেমে নতুন নতুন কিছু করতে চাই। খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই।’’
প্রথমার্ধে মেসির গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ১০ মিনিটের মধ্যেই সেল্টা ভিগোকে সমতায় ফেরান জন। দ্বিতীয়ার্ধটা অবশ্য নাটকের পটভূমি। সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক, নেইমারের অতিরিক্ত সময়ের গোল আর অভিনব পেনাল্টি। বার্সেলোনার ম্যাচ জয় ৬-১ গোলে।
আরও খবর
লা লিগায় বার্সেলোনার জয়ের গ্যালারি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy