১৯৮০-র ইডেন গার্ডেন বা ১৯৮৯-এর হিলসবোরো, ফুটবল মাঠ বার বারই দেখেছে সমর্থকদের দৌড়াত্ম থেকে মৃত্যু। আবার ফিরে এল সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যা মনে করিয়ে দিল অ্যাঙ্গোলা। শুক্রবার সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১৭ জনের। অ্যাঙ্গোলার জানুয়ারি ফোর স্টেডিয়ামের মূল গেট বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই ঘটে যায় বড় দুর্ঘটনা।
আরও খবর: মরসুমের প্রথম ডার্বি, মন খারাপ কলকাতার
খেলা চলছিল অ্যাঙ্গোলার স্থানীয় লিগের। যেখানে মুখোমুখি হয়েছিল সান্তা রিতা দে কাসিয়া ও রিক্রিয়েটিভোদে লিবোলো। ভর্তি স্টেডিয়ামেই খেলা চলছিল। তখনই জায়গা না থাকলেও স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করে আরও সমর্থক। শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। অনেকে ছিটকে পড়েন মাঠের মধ্যে। তখন ফুটবলাররাও ছিলেন মাঠের মধ্যেই। এই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে স্টেডিয়াম থেকে বেড়তে গিয়ে পরে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ঘটে যায় এই ঘটনা। স্থানীয় পুলিশসূত্রের খবর, আহত হয়েছেন ৫৬ জন, যাঁদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের অনেকের অবস্থা বেশ খারাপ। রিক্রেটিভো দে লিবোলোর তরফে প্রেস রিলিজ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘‘প্লেয়াররা মাঠে নেমে পড়ার পর বাইরে থেকে আরও সমর্থক ঢোকার চেষ্টা করে স্টেডিয়ামে। তাদের চাপে ভেঙে যায় গেট। যে কারণে প্রচুর সমর্থক একে অপরের উপর পরে যায়।’’ অ্যাঙ্গোলা ফুটবলের ইতিহাসে এটা সব থেকে বড় ঘটনা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৮ নম্বরে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র অর্ল্যান্ডো বার্নার্দো বলেন, ‘‘মূল গেট বন্ধ থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর তালিকায় বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। যাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।’’ হিলসবোরোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৯৬ জনের। ইডেনে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। অ্যাঙ্গোলায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy