Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মাদ্রিদ-যুদ্ধে গোল করেও কাঁটাই পেলেন রোনাল্ডো

এক জন গোল পেয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না। আর এক জন গোল পেলেন না, কিন্তু টিমের জেতার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন। এঁরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর লিওনেল মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল পেলেও আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সিআর সেভেন ব্যর্থ হলেন রিয়াল মাদ্রিদকে জেতাতে। ৪০০ গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ না করেও আটলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে বার্সেলোনাকে জিতিয়ে যেটা করে দেখালেন এলএম টেন। নেইমারকে জোড়া গোলের পাস বাড়িয়ে।

সিমিওনের সৌজন্যে রোনাল্ডোর খারাপ দিন।

সিমিওনের সৌজন্যে রোনাল্ডোর খারাপ দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০০
Share: Save:

এক জন গোল পেয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না। আর এক জন গোল পেলেন না, কিন্তু টিমের জেতার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন। এঁরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর লিওনেল মেসি।

পেনাল্টি থেকে গোল পেলেও আটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সিআর সেভেন ব্যর্থ হলেন রিয়াল মাদ্রিদকে জেতাতে। ৪০০ গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ না করেও আটলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে বার্সেলোনাকে জিতিয়ে যেটা করে দেখালেন এলএম টেন। নেইমারকে জোড়া গোলের পাস বাড়িয়ে।

শনিবারের লা লিগায় দুই তারকাকে ঘিরে তাই দুই ভিন্ন ছবি। চোটের জন্য তিন সপ্তাহের বিশ্রাম কাটিয়ে এ দিনই মাঠে নেমেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। কিছু দিন আগেই স্প্যানিশ সুপার কাপে হারের বদলার আবহও ছিল। কিন্তু রোনাল্ডো বদলা নিতে পারলেন কোথায়!

ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্নার থেকে তিয়াগো মাথা ছুঁইয়ে আটলেটিকোকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পেনাল্টি আদায় করে সেটা শোধই যা করলেন সিআর সেভেন। গোটা ম্যাচে ওই একটাই গোলের মধ্যে শট তাঁর। বাকি চারটে শট লক্ষ্যভ্রষ্ট। ম্যাচের শেষ দিকে রাউল গার্সিয়ার ফলস ধরতেই পারেননি রিয়ালের ডিফেন্ডাররা। রাউলের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা তুরানের শট যে কারণে মসৃণ গতিতে রিয়ালের জালে জড়িয়ে যায়। রিয়াল সোসিয়েদাদের পর আটলেটিকো দলের ফের হারে রিয়াল সমর্থকরা এতটাই বিরক্ত যে ম্যাচের পর তাঁদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও হজম করতে হয় রোনাল্ডোদের।

এই নিয়ে প্রথম বের্নাবাওতে পরপর দু’ম্যাচে রিয়ালকে হারানোর নজির গড়ল আটলেটিকো। নিষেধাজ্ঞা থাকায় দিয়েগো সিমিওনেকে স্ট্যান্ডে বসেই ম্যাচটা দেখতে হয়। ম্যাচের পর আটলেটিকোর আর্জেন্তিনীয় কোচ কৃতিত্ব দেন পরিবর্ত ফুটবলারদের। বলে দেন, “প্রথমার্ধের শুরুটা ভাল হলেও শেষ দিকটা আমার টিমের খেলা পছন্দ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে কোকে সেন্টারে থাকায় আমরা ম্যাচের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছিলাম। তুরান আর গ্রিজম্যান দুরন্ত ছিল।” সঙ্গে যোগ করেন, “তবে সবচেয়ে বেশি আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে পরিবর্ত ফুটবলারদের পারফরম্যান্স।” দলবদলের বাজারে দিয়েগো কোস্তা, ফিলিপে লুইসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের হারালেও, সিমিওনে মনে করছেন, আটলেটিকো আবার লা লিগা জেতার ক্ষমতা রাখে। “অনেক ভাল ফুটবলার হারিয়েছি। কিন্তু দল ভাল অবস্থায় আছে। ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে আবার লা লিগা জিততে পারবে দল।”

মঙ্গলবার অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে টিমের এই ফর্ম নিশ্চিত ভাবে আত্মবিশ্বাস যোগাবে সিমিওনেকে। ঠিক যেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে কার্লো আন্সেলোত্তির রিয়ালকে। মঙ্গলবার বাসেলের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু রিয়ালের।

তার আগে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর টিমকে ছন্দে ফেরানোটাই আন্সেলোত্তির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রিয়াল কোচ যা নিয়ে বলে দেন, “আসলে আমাদের সিস্টেমে কোনও সমস্যা নেই। টিমের খেলায় ঝাঁঝটা মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যাচ্ছে। সেটাই সমস্যা। আটলেটিকোর বিরুদ্ধেও যেটা দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে। গতি আর আগ্রাসনটা পাওয়া যায়নি। কেন এ রকম হল সেটা খুঁজে দেখতে হবে।” তবে রিয়াল কোচ আশাবাদী। তাঁর ধারণা রিয়াল চেনা রিয়ালে ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি। বলেছেন, “মরসুমের শুরুটা ভাল হয়নি আমাদের এটা ঠিক। তবে সবে তো শুরু, এর মধ্যে ঠিক সমাধান পাওয়া যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE