Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্রের অর্থে নয়া ইউনিট রাজ্যের তিন মেডিক্যালে

কেন্দ্রের অর্থ-সাহায্যে এ রাজ্যের তিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। ওই টাকায় হাসপাতালগুলিতে একাধিক নতুন সুপার স্পেশালিটি ইউনিট চালু হতে চলেছে। একই সঙ্গে কিছু বর্তমান ইউনিটের সম্প্রসারণের কাজও হবে।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:১০
Share: Save:

কেন্দ্রের অর্থ-সাহায্যে এ রাজ্যের তিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। ওই টাকায় হাসপাতালগুলিতে একাধিক নতুন সুপার স্পেশালিটি ইউনিট চালু হতে চলেছে। একই সঙ্গে কিছু বর্তমান ইউনিটের সম্প্রসারণের কাজও হবে।

মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামোর হাল ফেরাতে অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, মালদহ এবং উত্তরবঙ্গএই তিনটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অর্থ-সাহায্য পাবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিটি হাসপাতালের জন্য ১৫০ কোটি টাকা করে (মোট ৪৫০ কোটি) বরাদ্দ হয়েছে। ৩৬০ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। বাকিটা দেবে রাজ্য সরকার। চলতি বছরেই কাজ শুরু হবে। এই কাজ কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের অধীনে হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সহ সভাপতি, পেশায় চিকিৎসক সুভাষ সরকার।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই মোতাবেক রাজ্যগুলির কাছ থেকে হাসপাতালের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য ভবনের তালিকায় এ রাজ্যের তিনটি মেডিক্যাল কলেজেরই নাম ছিল। ওই বৈঠকে উপস্থিত বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ প্রধান জানান, এই টাকা দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে অত্যাধুনিক মানের কিছু ইউনিট গড়া হবে। রাজ্য যদি ২০ শতাংশের বেশি টাকা দেয়, সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র আরও বেশি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

সুভাষবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অর্থ-সাহায্যে এ রাজ্যের তিন মেডিক্যাল কলেজে ট্রমা সেন্টার, নিউরো-সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, এন্ডোক্রিনোলজি, পেডিয়াট্রিক সার্জারির মতো নতুন সুপারস্পেশ্যালিটি ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “এই ইউনিটগুলি না থাকায় জেলার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হয়। তাতে তাঁদের ভোগান্তি বাড়ে। এখানকার হাসপাতালেই এই সব ইউনিট চালু হলে, রোগীদের খুবই সুবিধা হবে।” কিছু হাসপাতালে ডায়ালিসিস, বার্ন ইউনিট, অনকোলজি-র (ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র) মতো বিভাগ থাকলেও সেগুলির পরিকাঠামো বেহাল। এই টাকায় ওই ইউনিটগুলিকেও ঢেলে সাজা হবে।

তবে, কেন্দ্রীয় সাহায্য আসলেও মেডিক্যালের প্রকৃত উন্নয়ন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতা সুভাষবাবু। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সাহায্যের পূর্ণ সুফল নিতে হলে রাজ্যের উচিত, ঠিক সময়ে তাদের ভাগের টাকা দিয়ে দেওয়া। তিনি বলেন, “বর্তমানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাবে সর্বস্তরেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছে। চিকিৎসকের সংখ্যাও যথেষ্ট অপ্রতুল। নতুন একাধিক ইউনিট চালু হলে আরও অনেক কর্মী ও চিকিৎসকের প্রয়োজন পড়বে। রাজ্য সরকারের উচিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ ত্বরান্বিত করা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE