দেড় সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের শিশু নিখোঁজ রহস্যের জট খুলতে পারল না পুলিশ। সিআইডি-র শিল্পীকে দিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে শিশু উধাওয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক মহিলার ছবি আঁকিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ঘটনার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন রক্ষীকে সরিয়ে দিল। তাতেও ক্ষোভ কমেনি গ্রামবাসীর। তারা অবিলম্বে ওই সদ্যোজাতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবিতে এ বার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হল। মঙ্গলবার আড়শার কালীপুর থেকে একদল পুরুষ ও মহিলা পুরুলিয়া জেলাশাসকের দফতরে এসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা।
গত ৭ নভেম্বর সকালে হাসপাতালের তিনতলায় নিওনেটাল ওয়ার্ড থেকে কালীপুরের প্রসূতি মেনকা মুর্মুর সদ্যোজাত ছেলে উধাও হয়ে যায়। এক মহিলা এসে তাকে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রথণে হাসপাতাল পরে শিশুটির আত্মীয়েরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রামবাসীও হাসপাতালে এসে শিশুটিকে উদ্ধারের দাবি জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোয়েন্দাদেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু উদ্ধার করা যায়নি।
কিছু দিন অপেক্ষা করে এ বার জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাতে এলেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ওই সদ্যোজাতের বাবা ডাঁট মুর্মু, সদ্যোজাতের মাসি পাণি হাঁসদা। ছিলেন জেলা কংগ্রেস নেতারাও। এ দিন তাঁরা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রবালকান্তি মাইতির সঙ্গে দেখা করেন দাবি জানান। প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে এসে ডাঁট মুর্মু ও পাণি হাঁসদা বলেন, “আমরা অতিরিক্ত জেলাশাসককে জানিয়েছি, যে ভাবেই হোক আমাদের ছেলেকে খুঁজে বের করতে হবে।”