তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক (রেডিওলজিস্ট)। অথচ প্রতি শনিবার তিনি হাসপাতালে আসেন না বলে অভিযোগ। গত প্রায় আট মাস ধরে তাঁর এই অনুপস্থিতির জন্য শনিবারে কোনও রোগী আইডি-তে আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা এক্স-রে করাতে এলে রিপোর্ট হাতে পান না। ইমার্জেন্সি কেসেও এর ব্যতিক্রম হয় না। কারণ, টেকনিশিয়ানেরা এক্স-রে বা ইসিজি করলেও রিপোর্ট লেখার কথা শুধু রেডিওলজিস্টের।
রোগীদের অভিযোগ, পরের দিন রবিবার ছুটির দিন, ফলে রিপোর্ট পাওয়া যায় না সে দিনও। রিপোর্ট হাতে পেতে প্রায় চার-পাঁচ দিন পার হয়ে যায়। অথচ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল হল যে কোনও সংক্রমণজনিত রোগ ও আন্ত্রিক রোগের ক্ষেত্রে রাজ্যের একমাত্র রেফারাল হাসপাতাল। এখানে যে ধরনের রোগী আসেন তাঁদের বিশেষ করে আল্ট্রাসনোগ্রাফির প্রয়োজন হয়। সেখানে শনি-রবিবার রেডিওলজি বিভাগ থেকে কেন রিপোর্ট মিলবে না? রিপোর্ট না দেখলে তো সঠিক চিকিত্সাও হবে না। ফলে অনেক ইমার্জেন্সি কেসে গরিব রোগীকে প্রচুর টাকা দিয়ে বেসরকারি জায়গা থেকে পরীক্ষা করাতে বাধ্য হতে হয়।
শনিবার না আসার কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রেডিওলজিস্ট জীবনকৃষ্ণ দে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আইডি-র মতো স্পেশালিটি হাসপাতালে কেন এক জন মাত্র রেডিওলজিস্ট থাকবেন? কেন বছরের পর বছর রোগীর চাপ একা আমাকে সামলাতে হবে?” তাঁর আরও বক্তব্য, “আমার মতো সিনিয়র একজন প্রফেসরকে আইডি-তে পানিশমেন্ট পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। আমার শরীরও ভাল নেই। আমার কোনও সহযোগী নই, কোনও মেডিক্যাল অফিসার নেই। অনেকদিন চাকরি হয়েছে, অনেক ছুটি বাকি রয়েছে। রবিবার আমার এমনিতেই ছুটির দিন। সেই সঙ্গে আমি সপ্তাহান্তে শনিবার ছুটি নেব। তা না হলে বাকি সপ্তাহ একা টানা মুশকিল।”