হাসপাতালের ট্রলি থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক প্রসূতি ও তাঁর গর্ভস্থ ন’মাসের শিশুর। রবিবার বিকাল চারটে নাগাদ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম সাহেরা বিবি (৩০)।
মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করার পরে চিকিৎসক না আসায় দীর্ঘক্ষণ সাহেরা বিবিকে লেবার রুমের সামনে ট্রলিতে রেখে দেওয়া হয়। যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে ট্রলি থেকে সাহেরা বিবি মাটিতে পড়ে যান। সেই সময় কোনও নার্স বা হাসপাতাল কর্মীও ধারেকাছে ছিলেন না। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাস জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে অভিযুক্ত চিকিৎসককে শোকজ করা হচ্ছে। গাফিলতি প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাকি নার্স-সহ কারা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলিয়াচকের শেরশাহী এলাকার বাসিন্দা এজাজুল মোমিনের স্ত্রী সাহেরা বিবি ন’মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এ দিন সকালে সাহেরা বিবির প্রসব যন্ত্রনা শুরু হলে তাঁর পরিবারের লোকেরা প্রথমে কালিয়াচকের সিলামপুর হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকেরা সাহেরা বিবিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগে ইউনিট-বি ২ এর চিকিৎসকদের অধীনে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বারবার কল করা হলেও দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সুদীপ রঞ্জন পাল প্রসূতিকে দেখতে আসেননি বলে অভিযোগ।