টালবাহানা কাটিয়ে শুয়োর হঠাও অভিযানে তেড়েফুঁড়ে নামল বর্ধমান পুরসভা।
বুধবার শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনজির বাগানে সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে ৪০টি শুয়োর ধরেন পুরসভার কর্মীরা। অভিযানের তদাকরি করতে হাজির ছিলেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত, তিন কাউন্সিলর খোকন দাস, সেলিম খান ও শুক্তিশুভ্রা হাজরা। শুয়োরগুলি ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ব্যবসায়ীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত।
উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপে শতাধিক মৃত্যুর পরে রাজ্য জুড়ে শুয়োর হঠাও অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে সেভাবে সক্রিয় হয়নি বর্ধমান পুরসভা। উল্টে পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তের যুক্তি ছিল, এনসেফ্যালাইটিসের ভাইরাসের বাহক মশার লার্ভা ধংস করার উপায় যেখানে রয়েছে, সেখানে তড়িঘড়ি শুয়োর হঠাও অভিযানের দরকার নেই। বরং শুয়োরেরা যেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই এলাকাগুলির জলাশয়ে পাতি হাঁসের চাষ করলেই চলবে। কারণ পাতিহাঁসেরা এই এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমন ছড়ানো মশাদের লার্ভা খেয়ে ফেলে। তাই শুয়োর তাড়ানোার আগে পাতিহাঁসের চাষের পক্ষে ছিলেন তিনি।