কলকাতার উপকণ্ঠে সোনারপুরে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের রোগীর হদিস মেলায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর উদ্বিগ্ন। উদ্বেগ বাড়ছে এখনও পর্যন্ত ওই রোগীর দেহে সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করতে না-পারায়। কেননা উৎস শনাক্ত না-হলে রোগের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া মুশকিল।
এর আগে কলকাতা বা তার আশেপাশে রোগী পাওয়া গেলেও তাঁরা বিহার বা উত্তরবঙ্গ থেকে সেই রোগের জীবাণু বহন করা হয়েছে বলে যুক্তি দিতেন স্বাস্থ্যকর্তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানা এলাকার উচ্ছেপোতা গ্রামের বাসিন্দা সোনু শাহ নামে ওই রোগাক্রান্ত কিশোরের ক্ষেত্রে কিন্তু সে-কথা বলা যাচ্ছে না। কারণ, নিকট অতীতে সোনারপুরের বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যায়নি সে। যাননি তার পরিবারের অন্য কেউও।
শঙ্কিত স্বাস্থ্যকর্তারা এই অবস্থায় আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তড়িঘড়ি ওই এলাকায় বিশেষজ্ঞদল পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এলাকার একটি ক্লাবে অস্থায়ী শিবির গড়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা শনি ও রবিবার, দু’দফায় ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার জানান, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌরব রায়ের নেতৃত্বে একটি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরছে। জ্বর হলেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ব্যবস্থা হচ্ছে মশা মারারও। ওই এলাকার কোথাও শুয়োরের আনাগোনা রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।