দোলের দিন দুর্ঘটনার ভয়ে বাড়িতে লুকিয়ে বসে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। তা হলে উপায়টা কী? চিকিত্সকেরা বলছেন, সব চেয়ে নিরাপদ ভেষজ রঙে দোল খেলা। কিন্তু সেই পরামর্শ ক’জনই বা শোনেন! এ ক্ষেত্রে তাই কিছু সতর্কতার কথা খেয়াল রাখাই ভাল। আর দোলের দিন সেই তালিকায় এক এবং অন্যতম সাবধানতার জায়গা হল চোখ। ডাক্তারেরা বলছেন, দোলের রংবাজি স্বাগত। কিন্তু তা যেন দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ মৃন্ময় দাসের কথায়, “রং ভরা বেলুন চোখে লাগলে তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ওই আঘাত সরাসরি রেটিনায় হওয়ার ঝুঁকিই বেশি। এ ক্ষেত্রে চোখে জলের ঝাপটা দিলে আরও ক্ষতি। চোখ বন্ধ রেখে কোনও ভাবে কাছের কোনও হাসপাতালে পৌঁছে যাওয়াই শ্রেয়।”তিনি জানিয়েছেন, ছোট-ছোট দানাদার চিকচিকে রংও চোখের পক্ষে বিপজ্জনক। কারণ রাসায়নিক ওই দানাগুলি কর্নিয়ার ক্ষতি করে। এ ক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের কাছে না গেলে পরবর্তী সময়ে চোখে সংক্রমণ হতে পারে।
তা হলে বাঁচার উপায় কী? চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, কেউ রং দিতে এলে তখন চোখ বন্ধ রাখাটাই শ্রেয়। কনট্যাক্ট লেন্স কোনও ভাবেই পরা যাবে না। রং খেলার পরে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা ভাল। রং খেলার আগে মাথার চুলে ভাল করে নারকেল তেল মেখে নিলে ক্ষতিকর রঙের প্রভাব থেকে এক দিকে যেমন চোখ বাঁচবে, তেমনই স্নানের সময়ে চোখে রং ঢোকার ভয়ও খানিকটা কমবে। অনেক সময়ে রং দিতে গিয়ে আঙুলের খোঁচা লেগেও কর্নিয়া বা কনজাংটিভায় ক্ষত তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া কিছু কিছু রং কর্নিয়ায় আটকে থাকে। সেটা তোলার ব্যবস্থা না করলে পরবর্তী সময়ে দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।