স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিত্সক আগেই প্রশিক্ষণে গিয়েছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভরসা বলতে ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিত্সক ও একজন নার্স। মঙ্গলবার দু’জনেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না আসায় রোগী দেখলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরাই। এমনই অভিযোগ উঠেছে ঝালদা ১ ব্লকের ইলু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। স্বাস্থ্য দফতরের এই উদাসীনতায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। বাসিন্দারা ব্লক সদর ঝালদায় বিএমওএইচ-র কাছে গিয়ে ক্ষোভের কথা জানান।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপরে ইলু-জারগো, পুস্তি, নওয়াডি, মাঠারি খামার ও তুলিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ নির্ভরশীল। বাসিন্দাদের কথায়, এই এলাকা থেকে সদর ঝালদার দূরত্ব কমবেশি ১৫-১৬ কিলোমিটার। তা ছাড়া সদর পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল নয়। তাই চিকিত্সার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে এই এলাকার মানুষজন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরই নির্ভর করতে হয়। আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ চালু থাকলেও অনেকদিন তা উঠে গিয়ে কেবলমাত্র বহির্বিভাগই চালু রয়েছে। কিন্তু তার হালও এই!
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জ্বর, মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন কর্মাডির বাসিন্দা মহিলেশ মাছুয়ার ও ইলু গ্রামের রাজীব মাহাতো। তাঁদের কথায়, “চিকিত্সক নেই, নার্সও নেই। গ্রুপ ডি কর্মীরাই ওষুধ দিলেন। কপুল ঠুকে ওই ওষুধই খেতে হবে।” রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন ইলুর বাসিন্দা সুধীর মণ্ডল। তাঁর কথায়, “এ দিন তো ডাক্তার বা নার্স কেউই নেই। কেন নেই কেউ জানাতে পারলেন না।”