শহরের উপকণ্ঠ নয়, খাস কলকাতাতেও এ বার জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের রোগী মিলল। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পরে কলকাতাও যে আর নিরাপদ নয়, সেই বিষয়টি সামনে আসায় উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। আর সংক্রমণের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে (জেই) আক্রান্ত ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ এহসান আলি (৫৮) নামে ওই প্রৌঢ় আপাতত আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে জেই নিশ্চিত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের গরফা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। কর্মসূত্রে তাঁকে কলকাতা শহরেরই বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। ঠিক কোথা থেকে তাঁর এই সংক্রমণ হল, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য দফতর।
তবে এহসান আলির এই সংক্রমণ নতুন না পুরনো, তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, “সেরিব্রাল অ্যাটাক নিয়ে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর ফুসফুসেও সংক্রমণ ছিল। এনসেফ্যালাইটিসের কোনও উপসর্গ ওঁর মধ্যে পাওয়া যায়নি। তাই ওঁর শরীরে এই সংক্রমণ নতুন না আগে কখনও আক্রান্ত হওয়ায় শরীরে অ্যান্টিবডি রয়ে গিয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”