সোনা কেনার সময়ে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। ছবি: সংগৃহীত
ধনতেরসে সোনা কেনাকে অনেকেই শুভ মনে করেন। তবে যাঁরা ধর্মীয় রীতি মানতে চান না তাঁরাও এই সময়ে সোনা কিনে থাকেন। কারণ, ধনতেরসের সময়টায় বিভিন্ন রকম ছাড় দিয়ে থাকে সোনা বা গয়না বিক্রেতারা। তাই এই সময় গয়না কেনা অনেক সময়েই লাভের হয়। তবে কেনাকাটার সময়ে কিছু জিনিস জেনে রাখা দরকার। তবে ঠকতে হয় না।
১। সাধারণ ভাবে ২৪ ক্যারাট সোনাই খাঁটি। এই সোনা মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি।
২। গয়নার দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারাট সোনাই ব্যবহার করা হয়। তাতেই অলঙ্কার তৈরি হয়। ২২ ক্যারেট সোনা মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা।
৩। ২১ ক্যারাট ৮৭ শতাংশ এবং ১৮ ক্যারেট ৭৫ শতাংশ খাঁটি। তবে আমাদের দেশে ২২ এবং ২১ ক্যারেট সোনা দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়।
৪। স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মাপার পর সোনায় খাদ থাকলে সহজেই ধরা পড়ে যাবে। মেশিনই বলে দেবে কত ক্যারাটের সোনা গয়নায় ব্য়বহার করা হয়েছে। সুতরাং, স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে সোনায় খাদের পরিমাণ যাচাই করে কেনা উচিত।
৫। সোনা কতটা খাঁটি তা ঠিক করে ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’ (বিআইএস)। প্রত্যেক গয়নায় একটি নম্বর হলমার্ক করা থাকে।
৬। হলমার্কে সোনার ক্যারাট, হলমার্কের সাল, স্বর্ণকারের পরিচয় ও স্থান থাকতেই হবে। কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেওয়া দরকার।
৭। বেশি পরিমাণে গয়না বিক্রির জন্য অনেক সময়ে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই ‘মেকিং চার্জ’-এর উপর বাড়তি ছাড় দেওয়ার কথা বলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।
৮। একই গয়নার দাম দোকান অনুযায়ী আলাদা আলাদা হয়। তার কারণ হতে পারে সোনার মান বা গয়নার মজুরি। ফলে গয়না কেনার আগে বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নেওয়া ভাল।
৯। সোনা কেনা মানেই যে ভাল লগ্নি হল সেটা কিন্তু সব সময় ঠিক নয়। তাই লগ্নির উদ্দেশ্যে সোনা কিনতে চাইলে, অবশ্যই সে সম্পর্কে বিশদে খোঁজখবর নিয়ে কিনুন। পারলে সোনার বন্ড কিনুন।
১০। সোনার গয়নায় দামি পাথরের কাজ থাকলে, তা দেখতে ভাল কিন্তু তার দামও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কিন্তু পরে সেই গয়নার দাম চাহিদা মতো পাওয়া যায় না। তাই বিনিয়োগের পরিকল্পনা থাকলে গয়নায় পাথর না থাকাই শ্রেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy