এক বার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে জীবনে আনন্দ শেষ। নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, মিষ্টি বারণ, আরও একগাদা নিয়মে বেঁধে ফেলতে হবে জীবনটাকে। তবে জানেন কি এর মধ্যে বেশ কিছু শুধুই প্রচলিত মিথ? অতিরিক্ত সতর্কতার কারণেই আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলি অনেক কিছু নিয়ে। জেনে নিন এমনই সাত মিথ।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৬ ২০:৩৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৭
ধারণা: ডায়াবেটিকদের মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ বারণ। <br>
সত্যি: কখনই নয়। নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মিষ্টি সকলেই খেতে পারেন। ডায়াবেটিস না থাকলেও বেশি মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়।
০২০৭
ধারণা: ডাক্তার ইনসুলিন নিতে বলেছেন মানে রোগী যথেষ্ট নিয়ম মেনে চলেন না। <br>
সত্যি: T2D রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে নিয়মিত ওষুধ খেলেও একটা সময়ের পর ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
০৩০৭
ধারণা: ডায়াবেটিকরা কখনই রক্তদান করতে পারেন না। <br>
সত্যি: শুধুমাত্র যারা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন তারা রক্তদান করতে পারেন না। বাকিদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অবশ্যই রক্তদান করতে পারেন।
০৪০৭
ধারণা: ডায়াবেটিস থাকলে কখনই ট্যাটু করানো যাবে না।
সত্যি: যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ট্যাটু করালে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা কম।
০৫০৭
ধারণা: ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হবেই।<br>
সত্যি: অনেক মোটা মানুষেরও ডায়াবেটিস হয় না। ওজনের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ।
০৬০৭
ধারণা: ডায়াবেটিস ধরা পড়লে স্টার্চ জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। <br>
সত্যি: ডায়েটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্টার্চ। তাই কখনই ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া উচিত নয়। কম পরিমাণে অবশ্যই খান।
০৭০৭
ধারণা: ডায়াবেটিকদের সব সময় নিয়ন্ত্রিত খাওয়া উচিত ও কম পরিশ্রম করা উচিত।<br>
সত্যি: নিয়ম মেনে চললে ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিকরাও অন্যদের মতোই পরিশ্রম করতে পারেন।