ঝাড়ফুঁক নয়। সাপ কামড়ানোর পর দ্রুত শরণ নিন চিকিৎসকের। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
গরম আর বর্ষা এই দুই ঋতুতে সাপের উপদ্রব বাড়ে। প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। তার মধ্যে বেশির ভাগ মৃত্যুই সাপ কামড়ানোর পর পরই রোগীর যত্নে গলদ থাকার জন্য।
শুধু গ্রাম বলেই নয়, শহরাঞ্চলেও মানুষের ভ্রান্ত ধারণা ও কু-সংস্কারের বশবর্তী হয়ে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। সাপে কামড়ালে অধিকাংশ মানুষেরই যে ভয় ও জ্বালায় হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এ কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু অনেক কিছু জানার পরেও যে বিশেষ বিষয়গুলোয় আমরা ভুল করে থাকি তাতেই ঘটে হিতে বিপরীত।
সরকারি উদ্যোগে সারা বছরই কম-বেশি প্রচার চলে সাপের কামড়ের পর অবশ্য করণীয় নিয়ে। আরও এক বার জেনে নিন সাপে কামড়েলে কী কী করলে তা ডেকে আনতে পারে বিপদ।
আরও পড়ুন: ভাইরাল ফিভারের ভয় তাড়া করছে? এ ভাবে সুরক্ষিত রাখুন নিজেকে
ফ্রিজে ডিম রাখেন? কী ভুল করছেন জানেন?
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে:
শরীরের যেখানে সাপ কামড়াবে, সেই জায়গাটিকে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। হাঁটা-চলা করানোর চেষ্টা তো একেবারেই নয়। বেশি নাড়াচাড়ার শরীরের পেশীতে টান পড়ে। রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। অনেকেই সাপে কামড়ানোর ক্ষতের পাশে কিছুটা জায়গা চিরে বা কেটে দেন। ভাবেন, এতে ক্ষতে থাকা বিষ বেরিয়ে যাবে। একেবারেই ভুল ধারণা। বরং এমন করলে রক্তে আরও দ্রুত বিষ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। ব্যথা হবেই। কিন্তু ব্যথা কমানোর ওষুধ কখনও দেবেন না এ ক্ষেত্রে। এতে রোগীর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে না, চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটবে। স্ট্রেচারে শোওয়ানোর মতো করে সোজা করে রোগীকে শোওয়ান। কাত করে, বেশি হাত-পা নাড়িয়ে শোয়াবেন না। লক্ষ রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন বিষ ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা না তৈরি হয়। সাপে কামড়ালে সব চেয়ে প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসার। কোনও রকম কু-সংস্কারের ফাঁদে পা না দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে নিয়ে যান হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy