রেস্তোরাঁ থেকে বিমানবন্দর, ক্যাফে থেকে বড় রেলওয়ে স্টেশন- ডিজিটাল যুগে এখন যত্রতত্র ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ছড়াছড়ি। কুটো পয়সা লাগে না, গ্যাঁটের কড়ি ফেলা স্মার্ট ফোনের ডেটাটিও বেঁচে যায় আনায়াসে। তাই ফ্রি ওয়াইফাইয়ে আম জনতা মুগ্ধ হবে এ আর নতুন কথা কী? সুযোগ পেলেই বিনামূল্যে পাওয়া ইন্টারনেটটুকু পকেটস্থ থুড়ি ফোনস্থ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন অনেকেই। শুধুই হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক নয়, অ্যাপস আপডেট থেকে শুরু করে সফটওয়্যার আপডেটও করে নেন অনেকেই। কিন্তু আপনি জানেন না এই বিনামূল্যের ওয়াইফাই কতটা ক্ষতি হতে পারে আপনার!
হয়তো বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরার অপেক্ষায় বোর হতে হতে আপনার মনে হল একটা শপিং অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্রাউসিং করবেন। সেই মতো অ্যাপসটি ডাউনলোডও করলেন। জানতেও পারলেন না কী মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেল। অনেক সময় এই ডাউনলোডের সঙ্গে সঙ্গে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে আপনার ফোনে। এর মাধ্যমে আপনার ফোনের সেভ করা যাবতীয় ব্যক্তিগত পৌঁছে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব পাসওয়ার্ড দিবস, আপনার পাসওয়ার্ড এমন হলে কিন্তু সর্বনাশ!
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবায় কখনওই কোনও কিছু ডাউনলোড করা উচিত নয়। পাশাপাশি ইমেইল ব্যবহার করা, অনলাইন ট্রানজাকশন, ব্যাঙ্কের অ্যাপস ব্যবহারের থেকেও সতর্ক থাকা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্রি ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হলে সেই ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকাররা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। এমনকী এর প্রয়োগ পদ্ধতিও পাওয়া যায় ইন্টারনেটেই। হ্যাকিং পদ্ধতিগুলির মধ্যে ‘ম্যান ইন দ্য মিডল’ এবং ‘ইভিল টুইন’(ওয়াইফাই অ্যাকসেস পয়েন্ট) খুবই পরিচিত দু’টি পদ্ধতি। পাশাপাশি হ্যাকাররা যে ধরনের ওয়াইফাই ব্যবহার করেন তার সিগনাল খুবই শক্তিশালী হয়। বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায়, হ্যাকাররা কোনও বড় হোটেলের নামে তাঁদের ওয়াইফাইয়ের নাম রাখেন। যখন কোনও ব্যাক্তি সেই হোটেলের কাছাকাছি কোনও রেস্তোরাঁয় ওয়াইফাইয়ে সংযুক্ত হন, তখন হ্যাকারদের সামনে তাঁর সমস্ত তথ্য অসুরক্ষিত হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy