রূপচর্চায় কাজে লাগান বরফ। ছবি: সংগৃহীত
বাতাসে হিমেল ছোঁয়া। এখন থেকেই যতটা কম জল ঘাঁটা যায়, তত ভাল বাঙালির। কিন্তু রূপ-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের যত্ন নিতে প্রত্যেক দিন সকাল-বিকেল মুখে বরফ ঘষুন। শীতকালে মুখে সাবান দিতেই অনেকের অনীহা। তার উপর আবার কনকনে ঠান্ডায় মুখে বরফ ঘষবেন? শুনে আঁতকে উঠবেন অনেকেই। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে শীতে ত্বক উজ্জ্বল এবং সজীব দেখাতে বরফ ঘষার কোনও বিকল্প হয় না।
ত্বকে যদি সরাসরি বরফ ঘষা যায়, তা হলে মুখের রক্ত চলাচল বাড়ে। তাই মুখে লালচে আভা আসে। ঠান্ডায় যদি খুব জোরে হাঁটেন, তা হলে যে ধরনের লালচে ভাব আসে মুখে, অনেকটা তেমনই। মুখের ফোলা ভাব, বা চোখের চারপাশের ফোলা ভাব কমাতে বরফ সবচেয়ে তাড়়াতাড়ি কাজ করে। খ্যাতনামীদের মধ্যে আইস ফেশিয়ালও যথেষ্ট জনপ্রিয়। এতে মুখের ত্বক টানটান হয় এবং অনেক বেশি উজ্জ্বল লাগে।
এই ধরনের পদ্ধতিকে বলা হয় ক্রায়োথেরাপি। যেখানে নাইট্রোজেনের বাষ্প দিয়ে মুখ, মাথার তালু এবং গলার ত্বককে ঠান্ডা করা হয়। বাজারে এমনিতে নানা ধরনের খরচসাপেক্ষ ফেশিয়াল হামেশাই থাকে। কিন্তু বরফ ঘষার মতো সহজ ফিকিরও দারুণ কাজে দিতে পারে। ক্রায়োথেরাপির উপকারিতাগুলি জেনে নিন।
১। মুখের ফোলা ভাব কমায়
২। ত্বকে যদি অত্যধিক মাত্রায় গর্ত ভাব থাকে, তা হলে বরফ লাগালে তা খানিক ঢেকে যেতে পারে
৩। মৃত কোষ ঝেরে ফেলতেও সাহায্য করে আইস ফেশিয়াল
৪। রক্ত চলাচল বাড়ে
৫। ত্বকে যদি কোনও দাগ-ছোপ থাকে, তা হলেও ক্রায়োথেরাপি সেই দাগ মিলিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে
৬। এই পদ্ধতি মুখের ত্বককে মসৃণ করে। তাই তার পর যে কোনও ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার ভাল করে শুষে নিতে পারে ত্বক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy