মদের বোতল দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে রকমারি চুড়ি। ছবিঃ সংগৃহীত
২০১৫ সাল থেকে রাজ্যে মদ তৈরি এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছে বিহার সরকার। তবু নিষেধের ফাঁক গলেই গোপনে বসে মদের আসর। মাঝেমাঝেই পুলিশ অবৈধ মদ প্রস্তুতকারকদের ডেরায় অভিযান চালায়। তল্লাশি চালিয়ে যে বোতলগুলি উদ্ধার করা হত, এত দিন সেগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হত। এ বার সে সব বোতল দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে রকমারি চুড়ি। সম্প্রতি নীতিশ কুমারের সরকার এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের চুড়ি তৈরি ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
স্থানীয় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে। কী ভাবে মদের বোতল ব্যবহার করে কাচের চুড়ি তৈরি করা যায়, মহিলাদের তা শেখানো হবে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পটনা জেলার সবলপুর গ্রামে তৈরি হয়েছে এই কারখানা। স্থানীয় মহিলারই এই কারখানায় কাজ করছেন। কারখানার পাশেই বড় চুল্লি জ্বালিয়ে গলানো হয় মদের বোতল। তার পর বিভিন্ন পদ্ধতি এবং ধাপ পেরিয়ে তৈরি হয় চুড়ি। দিনে ৭০ থেকে ৮০ হাজার চুড়ি তৈরি করা হয়। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ থেকে প্রায় ১০০ জনের একটি দল এসে মহিলাদের চু়ড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
মদের বোতল এবং অন্যান্য কাঁচামাল থেকে গুঁড়ো কাচ তৈরি করা হয়। সেই কাচ দিয়েই তৈরি হয় রং-বেরঙের চুড়ি। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ মহিলাই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ঘরের। বেশির ভাগই সংসারের একমাত্র রোজগেরে। স্বামীরা নেশা করেন। তেমন কাজ করেন না। সন্তানদের মানুষ করার তাগিদে কাজ করছেন তাঁরা।
বিহারের আবগারি বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যে মদ ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এমনকি নেপাল থেকেও বিহারে মদ পাচার হচ্ছে। গত বছরই লিটার লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করেছে বিহার পুলিশ। সেই মদ ভর্তি বোতলগুলি কাজে লাগিয়েই এ বার তৈরি করা হচ্ছে নানা রঙের কাচের চুড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy