Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের মৃত্যুর আশঙ্কা কমাতে, প্রসবের আগে মায়েদের ‘কটির্কোস্টেরয়েড’ জাতীয় ইঞ্জেকশন (যেমন ডেক্সামেথাসন বা বেটামেথাসন) দেওয়া বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার জারি করা এক নির্দেশে হলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ৩৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা তৈরি হলে, বাধ্যতামূলক ভাবে এই ইঞ্জেকশন দিতে হবে।

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১৩
Share: Save:

শিশুমৃত্যু রোধে ইঞ্জেকশন মাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের মৃত্যুর আশঙ্কা কমাতে, প্রসবের আগে মায়েদের ‘কটির্কোস্টেরয়েড’ জাতীয় ইঞ্জেকশন (যেমন ডেক্সামেথাসন বা বেটামেথাসন) দেওয়া বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার জারি করা এক নির্দেশে হলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার ২৪ থেকে ৩৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা তৈরি হলে, বাধ্যতামূলক ভাবে এই ইঞ্জেকশন দিতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজ স্তর পর্যন্ত সর্বত্র এই ইঞ্জেকশন স্বাস্থ্য দফতরই সরবরাহ করবে। প্রসবকালীন জটিলতার কারণে অন্যত্র রেফার করা প্রয়োজন, কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না দেখলে অক্সিলিয়ারি নার্স মিডওয়াইফ (এএনএম)-দেরই ওই ইঞ্জেকশন দিতে হবে। আমাদের দেশে ১২% শিশু সময়ের আগে জন্মায়। ফুসফুস অপরিণত থাকায় বাতাস টানতে না পেরে মৃত্যু হয় অনেক শিশুর। শিশুমৃত্যুর ৩৫ শতাংশ হয় এই জটিলতার কারণেই। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীর এ দিন বলেন, “প্রসবের আগে মায়েদের কর্টিকস্টেরয়েডস জাতীয় ইঞ্জেকশন দিলে তা শিশুর ফুসফুসের প্রসারণে সাহায্য করে। ফলে সময়ের আগে জন্মানো শিশুদের মৃত্যু অনেকাংশে ঠেকানো যায়।”

চিকিত্‌সকের জামিন

নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল

বেআইনি ভাবে নার্সিংহোম চালানো ও জেলাশাসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ধৃত নার্সিংহোম মালিক তথা চিকিত্‌সক সস্নাত ভট্টাচার্য জামিনে ছাড়া পেলেন মঙ্গলবার। এ দিনই ওই চিকিত্‌সকের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসানসোল মহকুমাশাসকের কাছে দাবিপত্র দিল আইএমএ-র আসানসোল শাখা। সম্প্রতি, বিধি না মেনে নার্সিংহোম চালানোর অভিযোগে দু’টি নার্সিংহোম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক নিজে ওই পরিদর্শক দলে ছিলেন। িজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল মহকুমার একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে জেলাশাসকের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড এস্ট্যাবলিস্টমেন্ট আইনে নির্ধারিত বিধি মেনেই নার্সিংহোমে চিকিত্‌সা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের পরিষেবা দিতে হবে। ঠিক কী ধরনের বিধি মানা হচ্ছে না জানতে চাওয়া হলে জেলাশাসক জানিয়েছেন, অনেক জায়গায় বিশেষজ্ঞ চিকিত্‌সক নেই। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স নেই, নেই রোগ নির্ণয় কেন্দ্রও। কোথাও আবার এগুলো থাকলেও দেখা মেলে নি প্রশিক্ষিত কারিগরী কর্মীর। ওষুধের দোকান থাকলেও ফার্মাসিষ্ট নেই।

জেলা হাসপাতাল হয়নি আলিপুরদুয়ারে

জেলা ঘোষণার পরে চার মাস কেটে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার হাসপাতাল জেলা হাসপাতালের মর্যাদা পায়নি এখনও। জেলা ঘোষণার পরে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টে মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও বেহাল হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা। হাসপাতালের এক্সরে মেশিনের যন্ত্রাংশ বিকল থাকায় মাসখানেক ধরে মাথার এক্সরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় গ্রুপ ডির কর্মী দিয়ে ইসিজির কাজ চলছে বলে অভিযোগ। গত ২৫ জুন আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপরেও কেন জেলা হাসপাতাল ঘোষণা হবে না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা। তিনি বলেন, “জেলা হাসপাতাল ঘোষনার প্রক্রিয়া চলছে। সেটা করতে গেলে অর্থ দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। সেই প্রক্রিয়া চলছে।” এক্সরে এবং ইসিজির বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন টেকনিশিয়ান পাঠানোর জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রেজাউল মিনাজ দাবি করেছেন, এক্সরে-র যন্ত্রাংশ বিকল থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জাননো হয়েছে। যন্ত্র না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।এক্সরে বিকল থাকায় রোগীদের বেসরকারি কেন্দ্র থেকে এক্সরে করাতে হচ্ছে। প্রায় এক কোটি টাকা দামের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনের যন্ত্রাংশ এলেও তা মাস দেড়েক ধরে বাক্সবন্দি হয়ে করিডোরে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিজিটাল এক্সরের মূল যন্ত্রাংশ একটি ঘরে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র কয়েকটি ছোট যন্ত্রাংশ বাইরে রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু অভিযোগ করে বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপ না হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

সামান্য বৃষ্টিতে এ ভাবেই কয়েক দিন জল জমে থাকে উলুবেড়িয়া
ইএইআই হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে। সুব্রত জানার তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE