পুজোয় রান্নাঘর রাখুন ঝকঝকে।
বাঙালির জীবনে দুর্গাপুজো হলো সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। যার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে থাকে প্রতিটি বাঙালির আনন্দ, আবেগ, অনুভুতি সবকিছু। এই সবের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে মা'এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা। আর দুর্গাপুজো হল সেই সময়, যখন বাঙালি তার খাদ্যরসিক হওয়ার আসল পরিচয় দেয়। বলা যেতে পারে এই খাওয়া-দাওয়া ছাড়া বাঙালি জাতি অসম্পূর্ণ। ভোজনরসিক বাঙালির আনন্দের ঝুলিতে কিছু থাকুক বা না থাকুক খাওয়ার বাহার থাকবেই। আর এ ব্যাপারটি নিয়ে আপনি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত থাকতে পারেন।
আচ্ছা আপনিই বলুন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা! তা কি শুধুমাত্র দেবী আরাধনার মধ্যে থেমে থাকতে পারে? বাঙালির কাছে উৎসব মানেই সকলের এক জায়গায় একত্রিত হওয়া। এক কথায় যাকে বলে ফ্যামিলি মিটিং বা গেট টুগেদার। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন সকলে একত্রে মিলিত হয়ে পুজোর অনুভুতিকে, আবেগকে মিলিয়ে মিশিয়ে উপভোগ করার মজাটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আর এই জমজমাট পরিবেশকে আরও বেশি রসালো করার জন্য বরাবরই বাঙালিকে সঙ্গ দেয় ‘খাওয়ার’। এই খাওয়া ছাড়া বাঙালিকে জাস্ট ভাবা যায় না। বলতে পারেন, খাওয়া ছাড়া এই উৎসব অসম্পূর্ণ। আচ্ছা, এই পুজোয় খাওয়ার বানানোর জায়গা অর্থাৎ আপনার ঘরের কিচেন আপনার আয়তায় আছে তো?
না থাকলেও চিন্তা নেই। এই পুজোয় বদলে ফেলুন আপনার ঘরের কিচেনের চেহারা। জেনে নিন কিছু কিচেন হ্যাক্ যা আপনার পুজোর মুহূর্তগুলিকে করে তুলবে আরও সুস্থ ও সুন্দর।
আপনার রান্নাঘরের আসবাবপত্রকে দিন নতুন লুক:
কেক বানানোর জন্য বেকিং সোডা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে আপনি কি একথা জানেন যে আপনার রান্নাঘরের স্টোভ, অন্যান্য যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করার জন্যও বেকিং সোডার সমান ভাবে কার্যকরী। একটি পাত্রে জল দিয়ে তার সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি স্টোভ বা অন্যান্য যন্ত্রপাতিতে লাগিয়ে দিন। এক নিমেষে সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে উধাও হয়ে যাবে গন্ধও।
আপনার উৎসব হোক সুস্থ এবং নিরাপদ:
এই উৎসবের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক যতটা গভীর, আপনার রান্নাঘরের সঙ্গেও আপনার সম্পর্ককে করে তুলুন ততটাই গভীর। রান্নাঘরকে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখুন। যাতে আপনি এবং আপনার পরিবার আরশোলার উপদ্রব থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। আরশোলা আপনার রান্নাঘরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি চারিদিকে রোগ, জীবানু, ব্যকটেরিয়া ছড়ায় এবং আপনার রান্নাঘরকে দূষিত করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের উপস্থিতি আমাদের চোখে পড়ে না। আমরা সেই জীবানুযুক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আরশোলার এই উপদ্রব এড়াতে রান্নাঘরে ব্যবহার করুন লাল হিট। এর ছুঁচালো অগ্রভাগ শুধুমাত্র বাইরেরই নয়, ভিতরে লুকিয়ে থাকা আরশোলাকেও মেরে ফেলতে সক্ষম। #saynotofoodpoisoning
আপনার রান্নাঘরের সিঙ্ককে করে তুলুন চকচকে
রান্নাঘরের বেসিনকে পরিষ্কার ও চকচকে করার জন্য ব্যবহার করুন লেবু, ভিনিগার ও বেকিং সোডার মিশ্রন। এরপর একটি পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে ভাল করে ঘসে, ধুয়ে ফেলুন। আপনার স্টেইনলেস স্টিলের বেসিনকে হয়ে উঠবে একেবারে ঝকঝকে।
মাইক্রোভেনের গন্ধ দুর করুন এবং করে তুলুন আগের মতো
একটি মাইক্রোওয়েভ নিরাপদ মগের মধ্যে সাদা ভিনিগার ঢালুন। এরপর কয়েক মিনিটের জন্য সেটি মাইক্রোভেনে দিয়েই সরিয়ে ফেলুন। এরপর একটি ভেজা কাপড় দিয়ে পুরো মাইক্রোওয়েভ ভাল করে মুছে নিন। দেখবেন আপনার মাইক্রোভেনটি নতুনের মতো হয়ে গিয়েছে।
আপনার রূপোর বাসনকে করে তুলুন ঝকঝকে
পুজোর সময় অনেকেই ঘরে রূপোর বাসনপত্র বের করে। আর সেই বাসনপত্র সারা বছর ব্যবহার না করার ফলে অনেক সময়েই কালো হয়ে যায়। এবার এক নিমেষে আপনার রূপোর বাসনপত্রকে করে তুলুন ঝকঝকে। একটি পাত্রে গরম জল নিন এবং তার মধ্যে বেকিং সোডা, ও এক টুকরো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে রূপোর বাসনগুলিকে সেই রেখে দিন। কিছুক্ষণ পরে সেই বাসনগুলিকে তুলে নিন। মনে হবে সবেমাত্র কিনে আনা হয়েছে দোকান থেকে।
সকলের পুজো ভাল কাটুক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy