ছবি: সংগৃহীত।
পরজীবী বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘরের ছাদ, মাঠ, রাস্তা, জমি এ সব জায়গায় পরিষ্কার জল জমার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর ওই জলেই ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই এবং ম্যালেরিয়ার বাহক অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশার আঁতুড়ঘর। জমিতে জমে থাকা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এনসেফালাইটিসের জীবণুবাহক মশা কিউলেক্স বিষ্ণোই।
কী এই ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস
এনসেফালাইটিস মূলত মস্তিষ্কে সংক্রমণ। প্রধানত ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। এর মূল লক্ষণ হল তীব্র জ্বর, খিঁচুনি এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। ভারতবর্ষে প্রতি বছর অনেক শিশু এই ভয়াল রোগে প্রাণ হারায়। এ দেশে প্রধানত জাপানিস বি এনসেফালাইটিস ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। ডেঙ্গিও এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ। কিন্তু ডেঙ্গি সচরাচর মস্তিষ্কে আঘাত হানে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ডেঙ্গি মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। তখন তাকে বলে ডেঙ্গি এনসেফালাইটিস। অনেক সময় মস্তিষ্কে সংক্রমণের জায়গা থেকে রক্তক্ষরণও হয়। তখন তাকে বলে ডেঙ্গি হেমারেজিক এনসেফালাইটিস। এই হেমারেজিক এনসেফালাইটিস শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক এবং এতে মৃত্যুর হার খুব বেশি।
আরও পড়ুন: জ্বরে মাড়ি থেকে রক্ত বেরোলে সাবধান
প্রাথমিক লক্ষণ
যদি দেখা যায় ডেঙ্গি রোগী ভুলভাল বকছে, ঘোরের মধ্যে আছে কিংবা দ্রুত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে তাহলে তার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে খিঁচুনি থাকলে সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল। এই অবস্থায় রোগীকে বাড়িতে ফেলে না রেখে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয়। অধিকাংশ সময়ে এদের আই সি ইউ তে ভর্তি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খিঁচুনি বন্ধ করার ওষুধ দিতে হয়। অনেক সময় ভেন্টিলেশনেরও প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: চরিত্র বদল করছে ডেঙ্গির ভাইরাস
চিকিৎসা
ডেঙ্গি এনসেফালাইটিসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। মূলত উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা হয় এবং যতটা সম্ভব দ্রুত সেই চিকিৎসা শুরু করতে হয়। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে শিশুর প্রতি সতর্ক থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। কোথাও জল জমতে দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy