প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য কোনও কারণ লাগে না। বড়দিনও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বড়দিনের যেহেতু ধর্মীয় একটি তাৎপর্য রয়েছে তাই এই দিনটিতে উপহার দেওয়া নেওয়ার রীতির পিছনেও রয়েছে একটি প্রচলিত বিশ্বাস।
প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য কোনও কারণ লাগে না। বড়দিনও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বড়দিনের যেহেতু ধর্মীয় একটি তাৎপর্য রয়েছে তাই এই দিনটিতে উপহার দেওয়া নেওয়ার রীতির পিছনেও রয়েছে একটি প্রচলিত বিশ্বাস।
প্রতীকী ছবি।
ছবি: সংগৃহীত
প্রচলিত আছে যিশু মাতা মেরির কোলে আসার পর তিন জন জ্ঞানী ব্যক্তি যিশুকে তিনটি উপহার দেন। আর সেই উপহার দেওয়ার ঘটনাকে মনে রেখেই বড়দিনে উপহার দেওয়া নেওয়ার সূত্রপাত।
কথিত আছে তিন জন জ্ঞানী ব্যক্তি যিশুর জন্মের পর তাঁকে দেখতে এসে তিনটি উপহার দেন। এগুলি ছিল স্বর্ণ, ধূপ এবং গন্ধতৈল। এই তিনটি উপহার আসলে রাজত্ব, দৈবত্ব আর মৃত্যুকে নির্দেশ করে। আর এই কথা মনে রাখতেই বড়দিনে উপহার আদানপ্রদানের প্রচলন।
তবে যে কোনও ধর্মীয় কিংবদন্তির মতোই এই ঘটনা ছাড়াও আরও একাধিক সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় নানা ধর্মীয় গাঁথায়। শুধু বড়দিনই নয়, বড়দিনের আগের রাতে সান্তা বুড়ো নিয়েও বিশেষত শিশুদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ দেখা যায়। সান্তাকে নিয়েও কিংবদন্তির শেষ নেই। সন্ত নিকোলাস থেকে কানাডার ঠিকানাই হোক বা লাল মোজা থেকে বলগা হরিণের টানা স্লেজ গাড়ি, নানা কাহিনি নানা বয়সের মানুষের মন ভাল করে দেয়।
শুধু উপহারই নয়, যেহেতু সারা বিশ্বজুড়েই বড়দিন কার্যত একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে তাই উপহার দেওয়ার পাশাপাশি গৃহসজ্জা, খাওয়াদাওয়া, চার্চের উপাসনা সঙ্গীত এই সব কিছুই এখন লোকসংস্কৃতির অঙ্গও হয়ে উঠেছে। বহু মানুষের জীবন জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বড়দিনের উদ্যাপন।