• জোয়ান বা আজোয়ান: এই গাছ ছাদে বা বারান্দায় এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে রোদ এসে পড়ে। পেট ভাল রাখতে জোয়ানের জুড়ি মেলা ভার, এ কথা কে না জানে। জোয়ান পাতা ভেজানো জল খাওয়ার নিদানও রয়েছে আয়ুর্বেদে।
আরও পড়ুন: চিনে নিন চিনি-র কামাল! ফিরবে ত্বকের জেল্লা
• পার্সলে: গার্নিশিং ছাড়াও স্যুপ বা স্যালাডে দারুণ স্বাদ বাড়ায় পার্সলে পাতা। স্যান্ডউইচের ফিলার হিসেবেও ভাল। গভীর পট বা টবে অর্গানিক সার দেওয়া মাটিতে এই গাছ রাখুন। রোদের মধ্যে, ভেজা মাটিতে থাকলে ভাল বাড়বে। ডালের বাইরের দিকের পাতার স্বাদ বেশি, এ তো জানা কথা।
• থাইম: মাছ-মাংসের স্টু-এ থাইম দিলে স্বাদ-বর্ণই বদলে যায়। গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদ ঘরের ভিতরে রাখলে নিয়মিত আলো দিতে হবে। মাটিতে জল বসতে দিলে চলবে না।
• অরিগ্যানো: নুডলস, পিৎজ়া বা বার্গার বানালে বা টোম্যাটো-প্রধান কোনও পদে শুকিয়ে নেওয়া অরিগ্যানো দেওয়া হয়। এটি পরিপাকে সহায়ক। অঙ্কুরোদ্গমের পরে চার ইঞ্চি বাড়লে একটু ছেঁটে দিন। বেশি বড় হয়ে গেলে সামলাতে পারবেন না।
• রোজ়মেরি: অলিভ অয়েল দেওয়া ইতালীয় রান্নায় এই সুগন্ধি পাতার ব্যবহার খুব চলে। বড় টবে রোজ়মেরি পুঁততে হবে। প্রায় চার ফুট পর্যন্ত বাড়বে, ঝোপের মতো দেখাবে। সূর্যের আলোয় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
• ধনেপাতা: এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। চওড়া টবে গাছটি পুঁতবেন, দু’দিন অন্তর জল দিতে হবে। গাছ খুব বড় হওয়ার আগেই তুলে নিন। এই গাছের নরম কাণ্ড আর কচি পাতাকে সিলান্ত্রো-ও বলে। স্প্যানিশ ও মেক্সিকান রান্নায় সিলান্ত্রোর ব্যবহার রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাঁদা কিংবা গোলাপ, নানা ফুলের ব্যবহারেই জেল্লাদার ত্বক
ডিল: স্যামন ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ রান্নায়, স্যালাড ড্রেসিংয়ে চমৎকার ফ্লেভার আনে। হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিনে ভরা। মশলা জাতীয় এই গাছটি সরাসরি বাগানে বা যেখানে সূর্যের আলো আসে, সেখানে বড় টবে অর্গানিক সার দিয়ে পুঁতে দিন। বড় গাছের আড়ালে রাখবেন। নইলে জোরে হাওয়া দিলে গাছ নষ্ট হতে পারে। গাছটিতে পোকামাকড় হয়, তাই শুকনো ডাল-পাতা ছেঁটে সরিয়ে দেবেন। বীজ নিজে থেকেই মাটিতে পড়ে নতুন গাছ জন্মায়।