শীতে শিশুর ত্বক বাঁচাতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।
হেমন্তের বিদায় থেকেই শীতের সঙ্গে লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় আমাদের। বাতাসে হিমের ছোঁওয়া মানেই ত্বক, স্বাস্থ্য, চুল সব কিছুরই অন্যরকম যত্ন প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। তাদের ত্বক এতটাই নরম হয় যে আবহাওয়ার শুষ্কতায় তা রুক্ষ হয়ে পড়ে। অনেক সময় তেল-ক্রিম ব্যবহারের পরেও তাদের ত্বক ফাটতে থাকে ও রক্ত পড়ে।
তবে চিকিৎসকদের মতে, ঘরোয়া কিছু যত্ন ও কৌশল জানা থাকলেই শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। সাধারণত তেল-ক্রিমেই আটকে থাকেন শিশুর অভিভাবকরা। কিন্তু রুক্ষতা রুখতে মাথায় রাখতে হয় আরও কিছু উপায়।
এমনিতেই শিশুদের ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়। তাই সব প্রকার তেল বা ক্রিম তাতে খাপ খায় না। তাই তাদের যত্নের আগে মাথায় রাখুন এই বিশেষ দিকটি। তা ছাড়াও আরও কিছু কৌশলে তাদের ত্বককে নরম ও আর্দ্র রাখতে পারবেন গোটা শীতকাল। কী ভাবে জানেন?
আরও পড়ুন: এ সব ঘরোয়া উপায়ে রাসায়নিক তেল-ধূপ ছাড়াই মশা তাড়ান সহজে
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ীর মতে, অনেক অভিভাবক সন্তানের জন্যও নিজেদের ব্যবহার করার তেল-ক্রিমই বরাদ্দ করেন। একটু বড় হওয়ার পর তা করলে অত ক্ষতি নেই। কিন্তু অন্তত ১০ বছর বয়স পর্যন্ত তার ত্বকের যত্ন নিন বেবি প্রোডাক্টেই। প্রতি দিন স্নানের আগে শিশুর ত্বকে ভাল করে সরষের তেল বা অলিভ অয়েল মালিশ করুন। তার পর শিশুকে কিছু ক্ষণ রোদে রাখুন। অনেক অভিভাবক রোদে চামড়া পুড়ে যাওয়ার ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, ত্বক ভাল রাখতে গেলে রোদের উপস্থিতি ভীষণ প্রয়োজনীয়। তেল মাখিয়ে রোদে রাখলে শিশুর ত্বক পোড়ে তো না-ই উল্টে হাড়ের জোরও তৈরি হয়। তার পর স্নান করান শিশুকে। শীত বলে স্নান একেবারে বন্ধ করবেন না। যে সব শিশুর বয়স দেড় মাসের বেশি, তাদের অবশ্যই রোজ ঈষদুষ্ণ গরম জলে স্নান করান। তবে শিশুর শ্বাসকষ্ট বা ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকলে স্নানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বরং স্নানের সময় গ্লিসারিন সাবান ও কম ক্ষারের বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: এ সব কাজেও ব্যবহার করা যায় বেবি পাউডার! আগে জানতেন?
বাজারচলতি ক্রিম বাদ দিন।শীতে সন্তানের ত্বক বাঁচাতে স্নানের পর এবং প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর অ্যালোভেরা, দুধ ও মধু থাকা ক্রিম ব্যবহার করুন। এর জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।তাঁদের দেওয়া ক্রিমই মাখান শিশুকে। সন্তান একটু বড় হলে, অর্থাৎ স্কুল যাওয়া শুরু করলেই সারা বছরই শরীরের খোলা অংশে মাঝারি এসপিএফ যুক্ত সানস্ত্রিন লাগান। এতে ত্বকের সার্বিক উপকার হয়। তবে পাঁচ-ছ’বছরের আগে তা না লাগানোই উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy