দাঁতের শিরশিরানিকে অবহেলা নয়। ছবি: শাটারস্টক।
দাঁত নিয়ে ভোগান্তি। আট থেকে আশি, ভুক্তভোগী ঘরে ঘরে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলি হল, নড়বড়ে দাঁত, দাঁতে পোকা, দাঁতে দাগ। এ সবের পাশাপাশি রয়েছে কিছু খেলেই দাঁতে শিরশিরানি ভাব। অনেকেই এগুলিকে হেলাফেলা করেন, পরে কড়া মাশুল গুণতে হয়।
কেবল ঠান্ডা বা গরম খেলেই নয়, অনেক ক্ষেত্রে যে কোনও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলেও দাঁতের শিরশিরানির সমস্যা দেখা যায়। টুথপেস্ট বদলে কিছুটা আরাম মিললেও তা সম্যাকে পুরোপুরি দূর করতে পারে না।
তবে ঘরোয়া উপায়েও দাঁতের এই সাধারণ সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দন্তবিশেষজ্ঞ অজয় কাকর ও তরুণ কুমার গিরোটি এমনই কিছু নিদান দিচ্ছেন যা মেনে চললে দাঁতের রোজকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। জানেন সে সব কী কী?
আরও পড়ুন: মেদ জমছে কিন্তু জিমে যাওয়ার সময় নেই? ফ্যাট তাড়ান এ সব উপায়ে
টুথব্রাশ বদলে ফেলুন: নরম ব্রিসেলের ব্রাশ করুন। এবং ব্রাশ করার সময় বেশি চাপ একেবারেই দেবেন না। এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়।
অ্যাসিডিক খাবার বা পানীয় নয়: যে খাবার বা পানীয়তে অ্যাসিডিক ভাব রয়েছে, তা না খাওয়াই ভাল। এর ফলেও দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। আর যদি তা খানও, তা হলে ২০ মিনিট পর দাঁত মেজে ফেলুন।
টিথ হোয়াইটনিংয়ে না: অনেকের দাঁত হলদেটে হয়, যার ফলে তারা তা সাদা করার নানা ফিকির খোঁজে। এর ফলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয় এবং এতে সেনসিটিভিটির সমস্যাও বাড়ে।
আরও পড়ুন: গরমে ভাইরাল ফিভারের হানা? বাঁচুন এ সব সহজ উপায়ে
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মাউথওয়াশ: অ্যালকোহল যুক্ত মাউথওয়াশ একেবারেই ব্যবহার করবেন না। বরং মাউথওয়াশের ক্ষেত্রে ভরসা রাখুন দন্তবিশেষজ্ঞদের উপর। দাঁতের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে মাউথওয়াশ। তাই বাজারচলতি মাউতওয়াশ কেনার আগে সাবধান হোন।
অ্যান্টাসিড: ঘন ঘন অ্যান্টাসিড খেলে কিন্তু দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। প্রয়োজনে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ঠেকাতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন। কিন্তু মুড়িমুড়কির মতো মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাবেন না।
টুথপেস্ট: মে়ডিকেটেড টুথপেস্ট পাওয়া যায় প্রায় সর্বত্রই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেনসিটিভিটি রোধ করে এমন পেস্ট ব্যবহার করুন দিনে দু’বার। তবে বিজ্ঞাপনী চমক দেখে বা ওষুধের দোকানে পাওয়া যায় বলেই যে কোনও টুথপেস্ট কিনে নেবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে টুথপেস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
তবে ঘরোয়া উপায়ে না কমলে, সমস্যা খুব বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসকের শরন নিন এবং অসুখ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy