বুকে চাপ এলেই সতর্ক হোন। ছবি: শাটারস্টক।
আধুনিক জীবনযাত্রা, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে হৃদরোগের ভয়। বাইরের খাবার, নৈশজীবনের হুল্লোড়, তেল-মশলা, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান— এ সব অভ্যাসের সঙ্গে যত বেশি জড়িয়ে পড়ছে মানুষ, ততই শরীরে জমছে মেদ, সঙ্গে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের জুজু, যা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের।
অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও ঠিক ভাবে বোঝা যায় না। তার আগেই হয়ে যায় ব্যাপক ক্ষতি। কোনও কোনও সময় বুকে কোনও রকমের যন্ত্রণা ছাড়াও হানা দেয় হার্ট অ্যাটাক। ফলে বিপদের আগাম আঁচ পাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকদের মতে, কিছু উপসর্গ দেখা দিলে যদি আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায়, তবে হার্ট অ্যাটাক রুখে দেওয়া সম্ভব।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুণাল সরকারের মতে, গড়পড়তা হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই প্রথম বার অ্যাটাক হয়। তাই অভিজ্ঞতা না থাকায় লক্ষণ টের পান না তাঁরা। ডায়াবিটিকরাও অনেক সময় বুঝতে পারেন না হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
আরও পড়ুন: ব্রণ নিয়ে চিন্তিত? ওষুধ ছাড়াই এ ভাবে দূর করুন এই সমস্যা
হৃদরোগ থাবা বসাতে পারে বুঝলে সত্বর ইসিজি-র শরণ নিন। ছবি: শাটারস্টক।
হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথার চেয়েও বেশি চাপ অনুভব করেন মানুষ। খেয়াল রাখুন, বুক, ঘাড়, চোয়াল, বা তলপেটে কোনও চাপ আসছে কি না। বুকে বেল্ট বেঁধে ক্রমে তা চেপে দেওয়া হচ্ছে— এমন কোনও অনুভব হলে দ্রুত সতর্ক হোন। শুধু বুক নয়, বাম হাত, ঘাড় এমনকি, ডান হাতেও একটানা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চাপের সঙ্গে ঘাম হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও সচেতন হোন। এই সময় রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে। চাপ ও ঘাম এক সঙ্গে হলেই ঘাড়ে-মাথায় জল দিন। দ্রুত কোনও হাসপাতালে যান।
অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের আগে তলপেটে চাপ অনুভব করেন। অনেকে একে গ্যাসের সমস্যা বলে উড়িয়ে দেন। এই ভুল করবেন না। ঘন ঘন এমন হলে হৃদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ইসিজি করান।
আরও পড়ুন: একাকিত্বে ভোগেন? জেনে নিন মনখারাপ উড়িয়ে দেওয়ার অব্যর্থ উপায়
অ্যাটাকের সময় কী করণীয়
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুণাল সরকারের মতে, একেবারেই দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। রোগীকে শুইয়ে দিন। ঘাড়ে জল দিতে থাকুন। হাতের কাছে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থাকলে ১৫০ মিলিগ্রামের দু’টি ট্যাবলেট খাইয়ে দিন দ্রুত। এ বার জিভের তলায় সরবিট্রেট দিন। এত কিছুর সঙ্গে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করুন। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে ততই এই বিপদ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy