আপনি কি পশুপাখি ভালবাসেন? হ্যান্ডব্যাগে কুকি, বিস্কুট রেখে দেন আর রাস্তায় কুকুর, বিড়াল দেখলেই খাওয়াতে বসে যান? প্রতিবেশীদের পোষ্যেরা, গলির কুকুর, বিড়ালরা কি আপনার প্রিয় বন্ধু? তবে আপনি অবশ্যই পশুপ্রেমী।
তবে, নিজের বাড়িতে যদি পোষ্য রাখার কথা ভাবেন তা হলে কিন্তু শুধু পশুপ্রেমী হলেই চলবে না। তার সঙ্গে জুড়ে যাবে আরও অনেক বিষয়। যদি সেগুলো ঠিক মতো পালন করতে না পারেন, তা হলে যতই কুকুর ভালবাসুন না কেন, কিছু দিন পর আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতেই পারে ওরা। বাড়িতে পোষ্য আনার আগে তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
দায়িত্ব: বাড়িতে কুকুর, বি়ড়াল পোষা মানেই কিন্তু দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া। সন্তান মানুষ করার মতোই দায়িত্ব নিতে হয়। সেই দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা সেটা নিজেকে প্রশ্ন করুন। যদি দায়িত্ব নিতে পারেন, তবেই বাড়িতে পোষ্য আনুন।
সময় দিন: পোষ্যদের আমাদের সময় ও যত্নের প্রয়োজন। বিশেষ করে কুকুররা কিন্তু আমাদের কাছে থেকে সময় না পেলে বিমর্ষ হয়ে পড়ে। তাই কুকুর পোষার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন তাকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন কিনা। যদি দিনের অধিকাংশ সময়ই আপনাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয় তা হলে কুকুর না পোষাই ভাল।
পরিবার: পোষ্যকে বাড়িতে আনলে কিন্তু ও আপনাদের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠবে। তেমনই আপনারা কিন্তু ওর পরিবার। হয়তো আপনি কুকুর বা বিড়াল ভালবাসেন, কিন্তু আপনার বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রী অপছন্দ করেন। তা হলে পোষ্য বাড়িতে না আনাই ভাল। বাড়িতে অবহেলা বা উপেক্ষার পরিবেশ ওদের জন্য ভাল নয়।
সহায়তা: পোষ্যের দেখভাল ও খাওয়ানোর দায়িত্ব নিজের একার কাঁধে তুলে নেবেন না। যদি আপনি কোথাও বেড়াতে যান বা বাড়িতে না থাকেন, তা হলে হয়তো পোষ্য সারা দিন খেলই না বা মন খারাপ করে বসে থাকল। তাই বাড়ির অন্যান্য সদস্য, এমনকী কাছের বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গেও যাতে আপনার পোষ্য স্বচ্ছন্দ থাকে সেই অভ্যাস শুরু থেকেই করান।
আর্থিক দিক: পোষ্য কিন্তু শুধুই আদর করার জন্য বা সময় কাটানোর জন্য নয়। ওদের নিয়মিত যত্ন ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও দরকার উপযুক্ত ভ্যাক্সিনেশন। প্রতি মাসেই পোষ্যের খাবার ও ডাক্তারের বিল মেটানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট বাজেট তৈরি করুন। যদি দেখেন প্রতি মাসে পোষ্যের জন্য পর্যাপ্ত খরচ করতে পারবেন তবেই বাড়িতে আনুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy