সকালে উঠেই কি চাঙ্গা হওয়ার জন্য এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেয়ে নিচ্ছেন? সেটাই ভুল হচ্ছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞেরা। ঘুম থেকে উঠে আমাদের শরীর একটু ধীর গতিতে চলে। এটাকে বলে ‘স্লিপ ইনার্শিয়া’। ১০ থেকে ৩০ মিনিটে এটা স্বাভাবিক ভাবেই কেটে যায়। কিন্তু শরীরে ক্যাফিন গেলে সেই স্লিপ ইনার্শিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। এবং তার প্রভাব পড়ে রাতের ঘুমেও। বরং ৯টা-১০টা নাগাদ যদি কফি খান, তাহলে সেটা কাজ করবে দুপুরবেলা পর্যন্ত। ভাতঘুমের প্রবণতা কমাবে এবং তাতে রাতে বেশি ভাল ঘুম হবে।
রাতের খাবার আর জলখাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত বিরতি দিন
একটি জনপ্রিয় ডায়েটের নাম ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। এই খাদ্যাভ্যাসে মানুষ দিনে ৮ ঘণ্টা খান এবং ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকেন। এই নিয়ম অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু রাতের খাবার আর সকালের খাবারের মধ্যে ১২ ঘণ্টার বিরতি আপনি চেষ্টা করলেই রাখতে পারেন। অবশ্য তার মানে এই নয় যে সকালে উঠে না খেয়ে বেলা পর্যন্ত বসে থাকবেন। কিন্তু রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন। এবং রাতের কোনওদিন জেগে থাকলেও টুকটাক খাবার খেয়ে ফেলবেন না। এতে ঘুমের আরও ক্ষতি হয়।
খুব রাতে মদ্যপান করবেন না
রাতের খাবারের সঙ্গে এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়ার উপকারিতার কথা অনেকেই বলেন। তাড়াতাড়ি ডিনার করলে আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু ঘুমের ঠিক আগে অনেকে ১-২টো ড্রিঙ্ক নেন যাতে তাড়াতা়ড়ি ঘুমিয়ে পড়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে আখেরে ক্ষতিই বেশি হয়। তা়ড়াতাড়ি ঘুম চলে এলেও ঘুমটা ভাল হয় না। বিশেষ করে যাঁদের শরীরে অ্যালকোহল একটু বেশি প্রভাব ফেলে।
সকাল-রাতের রুটিন ঠিক করুন
রাতে ঘুমনোর আগে কী কী করবেন বা সকালে উঠে কী কী কাজ সেরে ফেলবেন, তার একটা রুটিন ঠিক করে নিন। আপনি যদি রাতে ঘুমের আগে পরের দিনের যাবতীয় কাজের একটি তালিকা বানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে অনেক নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবেন। যদি দেখেন, ঘুমের আগে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল লাগালে কাজে দিচ্ছে বা ক্যামোমিল-টি খেলে মন শান্ত হচ্ছে, সেগুলো করে দেখতে পারেন। তবে ঘুমের ঠিক আগে অনেক পরিমাণে জল বা তরল না খাওয়াই ভাল। বারবার বাথরুম যেতে হলেও ঘুমের অসুবিধা হয়।