• ঋতু শুরুর আগে থেকে তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা করে। চলাকালীনও ব্যথা থেকে যায়।
• কোমরেও ব্যথা হতে পারে।
• অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের জন্যে রক্তাল্পতা হতে পারে।
• কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
• অবসাদে ভোগেন অনেকে।
• বমি হয়। খিদে চলে যায়।
• যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।
পলি চট্টোপাধ্যায় জানালেন, অনেক সময় এন্ডোমেট্রিয়োসিস থাকলেও সে রকম কোনও উপসর্গ থাকে না। অন্য কারণে পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে। অসুখটি পর্যায়ের হিসেবে ‘স্টেজ-১’ বা ‘স্টেজ-২’ অবস্থায় থাকলে খুব অসুবিধা হয় না। কিন্তু ‘স্টেজ-৩’ বা ‘স্টেজ-৪’-এ পৌঁছে গেলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হয়। কিছুটা রক্ত পেটের মধ্যেও থেকে যায়। আর সমস্যা শুরু হয় এখান থেকেই। জমা রক্ত চকোলেট সিস্টে পরিণত হয়ে যায়। ঋতুস্রাবের আগে থেকে ভয়ানক ব্যথা হয়।
শুরুতে এন্ডোমেট্রিয়োসিস ধরা পড়লে চিকিৎসা করে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অসুখের প্রাথমিক চিকিৎসা হরমোনের ওষুধ। অসুখ বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এটি এমন এক অসুখ, যা সম্পূর্ন ভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চললে ডায়াবিটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো ওষুধের সাহায্যে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এর টিকা তৈরি নিয়ে গবেষণা চলছে। চিকিৎসকদের আশা, আগামী দিনে টিকার সাহায্যে অসুখটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।