Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Food

সন্তানের পছন্দের দু’টি ‘মার্কিনি’ খাবারের গল্প শুনুন

ঘরের শিশুটি যেমন ধাঁচের খাবার পছন্দ করে, জেনে নিন তেমন কিছু রেসিপির ইতিহাস।

ফলে সাজানো ওয়াফেল।

ফলে সাজানো ওয়াফেল। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৩৮
Share: Save:

আপনার ঘরে বসে ছোট্ট শিশুটি সেই গ্রিক আমলের খাবার খেয়ে ফেলছে। খেয়াল থাকছে তো?
অবাক হচ্ছেন?
বিরিয়ানির গল্প বিখ্যাত বটে। তবে সব খাবারেরই ইতিহাস আছে। রয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত মজার মজার গল্পও। ঘরের শিশুটি যেমন ধাঁচের খাবার পছন্দ করে, জেনে নিন তেমন কিছু রেসিপির ইতিহাস। সে সব জিনিস খাওয়ার সময়ে গল্পগুলো কানে গেলে, ভোজন আরও মজার হতে পারে তাদের!
খাদ্য-গল্প শুরু করা যাক ‘পাই’ দিয়ে। বিশেষ বিশেষ বেকারির পাই খেয়ে শুধু তো সন্তান নয়, মুগ্ধ থাকেন বাবা-মাও। কিন্ত জানেন কি, এই পাইয়ের উৎস কোন জায়গায়? সমস্বরে উত্তর আসবে ‘মার্কিন দেশে’। তাই তো? কিন্তু ফিল্মি ভাষায় বলতে গেলে, ‘ইয়ে হ্যায় গলত জবাব’। মধ্যযুগে ইউরোপে, বিশেষত ব্রিটেনে বেশ চল ছিল পাই খাওয়ার। তবে তা মিষ্টি নয়, বরং মাংসের পুড় দেওয়া নোনতা স্বাদের খাদ্য ছিল মূলত। শোনা যায়, পাইয়ের খোলসটি আসলে গ্রিকেদের তৈরি। মাংস যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, তাই প্রাচীন যুগে ঘরের হেঁশেলে ময়দা আর জল দিয়ে বানিয়ে রাখা হত সেই খোলস। পরে রোমান যুগে সেই পাইয়ের আরও রমরমা হয়। খাদ্যবিলাসী রোমান সব বিশিষ্টজনেদের ভোজন তালিকায় কখনও কখনও মিষ্টি পাইও রাখা হত। এমনই লেখা আছে কেটো দ্য জুনিয়রের ‘দ্য অগ্রিকালচরা’-এ। তবে এখনকার বিশ্ববিখ্যাত অ্যাপেল পাইয়ের জন্ম অনেক পরে বলেই শোনা যায়। ১৬২১ সালে যখন প্রথম থ্যাঙ্কস গিভিং উদ্‌যাপন করা হয়, তখন মোটেও আপেল বা কুমড়োর পাই ছিল না সে মেনুতে!

মাংসের পাই।

মাংসের পাই। নিজস্ব চিত্র।

পাইয়ের পরে বরং যাই আর এক মার্কিনি হিট ‘ওয়াফেলের’ গপ্পে! ওয়াফেল বানানোর যন্ত্রের মতো একটি জিনিসের সাহায্যে নাকি ‘ওবেলিয়স’ নামের এক ধরনের কেক বানাতেন গ্রিক ঘরণীরা। সেই ওবেলিয়সের যন্ত্রই একটু ভোল বদল করে পরে ব্যবহৃত হয় নতুন এই খাবার বানানোর কাজে। মার্কিন মুলুকে সেই খাদ্য পৌঁছয় ইউরোপীয় তীর্থযাত্রীদের হাত ধরে। হল্যান্ড থেকে মাসাচুস্টেটস্ ফেরার পথে তা খেয়েছিলেন তাঁরা।
ওয়াফেলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৪-১৫ শতকে এই খাদ্যের একটি আদি রেসিপি তৈরি হয়েছিল। এর পরে বেলজিয়ামে এই খাদ্য নিয়ে চলেছে নানা পরীক্ষা। সেই থেকে ইউরোপে ওয়াফেলের রমরমা বাড়তেই থাকে। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপ জুড়ে চিনির দাম আগুন ছুঁলেও ওয়াফেলের গুরুত্ব কমেনি। মার্কিন দেশে ১৯৩০ নাগাদ সেই ধারার ওয়াফেলই বিখ্যাত হয় ‘বেলজিয়ান ওয়াফেল’ নামে। তবে চট জলদি বেলজিয়ান ওয়াফেল বানানোর মিক্স বিষয়টি একেবারেই মার্কিনি। একসঙ্গে অনেক ওয়াফেল বানানোর তাগিদে সেই মিক্স বানানো শুরু করে ক্যালিফর্নিয়ার একটি পরিবার।
পছন্দের খাবারের এমন গল্প আরও আছে। পরের বার খাওয়ার আগে শুনতে পেয়ে কেমন লাগছে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Food
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE