এমনিতে ঢেকুর তোলা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু যখন তখন বারবার সবার সামনে জোরসে আওয়াজ করে ঢেকুর তুললে প্রেস্টিজ একেবারে পাংচার। অনেকে আবার ঘাবরে গিয়েও ঢেকুর তুলতে শুরু করে দেন। যত্রতত্র সশব্দে ঢেকুরের বিপত্তি কিন্তু ঘরোয়া কিছু টোটকা দিয়েই দিব্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জেনে নিন সেই রকমই কিছু অব্যর্থ টোটকা।
আদা
এমনিতেই হজম, পেটের হ্যানাত্যানা হাজারো ঝুটঝামেলা সামলাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। অপ্রয়োজনীয় ঢেকুরও কিন্তু আদা সহজেই দূরে ভাগায়। আদার ঝাঁঝালো গন্ধে সমস্যা না থাকলে রোজ দিনে দু-তিন বার কয়েক কুচি আদা চিবোন। চাইলে, একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এমনি চায়ের বদলে আদা চা খাওয়া অভ্যাস করুন।
দই
আপনার রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই। অনেকেই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট হয়। দুধ বা দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট খেলেই তাদের ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে সেরা অপশন দই। এক সঙ্গে দুধের স্বাদ পাওয়াও যাবে আবার হবে না ঢেকুর সমস্যাও।
হিং ও মৌরি
হিং ও মৌরি কিন্তু ঢেকুর সমস্যার সমাধান করতে পারবে সহজেই। সাধারণ ডালে দু টেবিল চামচ হিং আর ১/৪ চামচ মৌরি ফোড়ন দিন নিয়ম করে। অবাঞ্ছিত ঢেকুর আটকাবেই।
মিন্ট চা
মিন্ট পাতা যদি নিয়মিত কাঁচা চিবোতে পারেন তাহলে তো কোনও কথাই নেই। কিন্তু তাতে যদি আপত্তি থাকে তাহলে মিন্ট চা খান। বা জলের সঙ্গে পুদিনা পাতা ফুটিয়ে খান।
পাতি লেবু ও বেকিং সোডা
ক্রনিক ঢেকুরের সমস্যা আটকাতে পাতি লেবু খুবই কার্যকরী। পাতিলেবুর রসে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মেশান। আস্তে আস্তে খেয়ে ফেলুন।
পেঁপে
রোজ পেঁপে খেলে হজম ক্ষমতা এমনিতেই চড়চড় করে বাড়ে। অকারণ গ্যাস তৈরি হয় না। ঘনঘন ঢেকুরও আর ওঠে না।
জিরে
সেলারি ও জিরে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। এরপর এটাকে গুড়িয়ে নিন। এক গ্লাস উষ্ণ জলে দু’চামচ মিশিয়ে রোজ খান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy