Advertisement
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Holi

Holi 2022 Special: দোল খেলবে ঘরের শিশুটি? তাকে সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে

শিশুদের রং খেলা মানেই বাবা-মায়ের চিন্তা। তাই সন্তান রং খেলার সময়ে অভিভাবকদের তটস্থ হয়ে থাকা অস্বাভাবিক নয়।

দোলে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার সহজ উপায়

দোলে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখার সহজ উপায় ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ০৭:০৬
Share: Save:

দোল শুধু বড়দেরই উৎসব নয়, কচিকাঁচারাও সমান পছন্দ করে রং খেলতে। আর শিশুদের রং খেলা মানেই বাবা-মায়ের চিন্তা। তাই সন্তানরা রং খেলার সময়ে অভিভাবকদের তটস্থ হয়ে থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সহজ কিছু কৌশল মেনে চললে কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন অভিভাবকরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। সঠিক রঙের ব্যবহার: রং খেলার সময়ে কৃত্রিম ভাবে তৈরি বিভিন্ন রাসায়নিক রং ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত, কারখানায় জারণ প্রক্রিয়ায় যে রং তৈরি হয়, তা শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে ভেষজ রং। সম্প্রতি বিভিন্ন ফুল ও উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহার করে এই ধরনের আবির প্রস্তুত করা হচ্ছে।

২। ত্বকের যত্ন: দোলের রঙে অনেকের ত্বকেই র‍্যাশ ও অ্যালার্জি তৈরি হয়। আবার রং যদি গাঢ় হয়, তবে তা বেশ কিছু দিন আঙুলের ফাঁক, কান ও গলার মতো অংশে থেকে যায়। অনেক স্কুলেই এ নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। এই সমস্যা দূর করার জন্য রং খেলার আগে সন্তানের গায়ে ভাল করে তেল মাখিয়ে দিন। ব্যবহার করতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলিও। এই উপাদানগুলি ত্বকে রং আটকে থাকতে দেয় না।

৩। রং ভরা বেলুন ও পিচকিরি: এই দুটি জিনিসই খুদেদের খুব প্রিয়। কিন্তু দোল খেলার সময়ে রং ভর্তি বেলুন ও পিচকিরি ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এতে যেমন চোট লাগার আশঙ্কা থাকে, তেমনই পিচকিরি দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া রং আচমকা নাক-চোখে ও কানের ভিতর ঢুকে যেতে পারে। তা ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। সন্তানকে জল রঙের বদলে আবির ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন।

৪। শরীরের খেয়াল রাখতে হবে আগেভাগেই: সাধারণত রং খেলতে খেলতে গড়িয়ে যায় বেলা। এক দিকে সূর্যের তাপ, অন্য দিকে তরল রং আচমকা শরীর খারাপ ডেকে আনতে পারে। রং খেলতে যাওয়ার আগে তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করান। এতে জলশূন্যতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। খেয়াল রাখুন হাত-মুখ না ধুয়ে সন্তান যেন কোনও খাবার খেয়ে না ফেলে। রাসায়নিক রং পেটে যাওয়া খুবই ক্ষতিকর।

৫। সঠিক শিক্ষা: রং মাখানোর উৎসাহ যেন অন্যের প্রতি অসম্মানজনক না হয়। অন্যের সম্মতিকে সম্মান করার শিক্ষা দেওয়া শুরু করতে হবে ছোট থেকেই। কেউ না চাইলে তাকে জোর করে রং দেওয়া ঠিক নয়। এই ছোট্ট শিক্ষাই ভবিষ্যতে সন্তানকে অপরের অধিকারকে সম্মান করতে শেখাতে পারে। ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলেই যে সেই সম্মানের যোগ্য সন্তানকে তা শেখাতে হবে ছোট থেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE