প্রতীকী ছবি।
শীত এ বার যেন পুরো বোকা বানিয়ে দিয়েছে। কখনও গরম, কখনও মেঘলা, কখনও বৃষ্টি। ভোরের দিকে শীত শীত ভাব। নিজেরা এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলেও শিশুদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই। অল্প বেশি সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যায় ভুগছে সব শিশুই। এই অবস্থায় শিশুদের রোজ স্নান করানো উচিত কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকে সব বাবা, মায়েদেরই।
শিশুর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে রোজ স্নান করাতে চান না মায়েরা। কিন্তু চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শিশু। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়। তাই আমাদের মতো শিশুদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরেও জলের প্রয়োজন হয়। নিয়মিত স্নান না করালে শিশুদের ত্বকে যেমন সমস্যা হতে পারে, তেমনই প্রতি দিনের ঘাম, ক্লেদ জমেও ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রতি দিন অবশ্যই স্নান করান। কিন্তু কিছু সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
শিশুকে কখনই ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম জলে স্নান করাবেন না। ইষদোষ্ণ জলে শিশুকে স্নান করান। খেয়াল রাখবেন স্নান করানোর সময় যেন দরজা, জানলা বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: বয়স্কেরা শীতে থাকুন সাবধানে
স্নানের পরই সঙ্গে সঙ্গে গরম তোয়ালে দিয়ে শিশুকে মুড়ে নিন। ভাল করে অবশ্যই মাথা, কান মোছাবেন। এই সব জায়গায় জল জমে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে।
শিশুকে অবশ্যই গ্লিসারিনযুক্ত সাবান দিয়ে স্নান করান এবং স্নানের পর সারা শরীরে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে দিন। না হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
স্নানের পর শিশুকে খালি গায়ে রাখবেন না। গরম জামা, কাপড়, মোজা, পরিয়ে দিন। এই সময় কিছুক্ষণ শিশুকে রোদে রাখতে পারলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন: পড়া মনে রাখতে নিঃশব্দে নয়, উচ্চারণ করে প়়ড়তে শেখান সন্তানকে
জন্মের পর এক মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে সপ্তাহে ২ দিন স্নান করানোর পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। তারপর থেকে রোজ স্নান করাতে পারেন।
যদি শিশুর ঠান্ডা লেগে থাকে, বুকে সর্দি জমে থাকে বা নাক দিয়ে জল পড়ে তা হলে শিশুকে স্নান না করানোর কথাই বলে থাকেন চিকিত্সকরা। এ ক্ষেত্রে ডাক্তার যেমন বলছেন তেমনটাই মেনে চলুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে শীতে সুস্থ রাখতে পারবেন শিশুকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy