প্রতীকী ছবি।
বাজার থেকে প্রচুর মাংস কিনে এনে দেখলেন পাড়ার ট্রান্সফর্মার ফেটে গিয়েছে। কিংবা ফ্রিজটা গেল আচমকা খারাপ হয়ে? কাস্টামার কেয়ারে ফোন করে মেরামত করার লোক আসতে আসতে মোটামুটি ৩ দিন লেগে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কষ্ট করে কেনা মাংস কি নষ্ট হবে? কী করে ভাল রাখবেন? রয়েছে বেশ কিছু উপায়। আপনার সুবিধে মতো বেছে নিন।
স্মোকিং
মাংস ভাল রাখার প্রাচীনতম পদ্ধতিগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। মাংস ঝলসে রাখলে বহুদিন ভাল থাকে। খেতেও দারুণ লাগে। ঝলসানো মাংসের নানা রকম রেসিপি আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন। তবে হালের গবেষণা বলছে খুব বেশি তাপমাত্রায় মাংস পোড়ালে তা কার্সিনোজেনিক (যা থেকে ক্যানসার হয়) হয়ে উঠতে পারে। তাই খুব ঘন ঘন এ ভাবে মাংস না রাঁধাই ভাল। বিপদে পড়লে অবশ্য চলতেই পারে।
জাল দেওয়া
মাংস ভাল রাখতে গেলে উচ্চ তাপমাত্রায় মাংস জাল দিতে হবে। তবে জীবাণুর আশঙ্কা কমাতে প্রতি ৬ ঘণ্টা পর পর মাংস জাল দিতে হবে। এ ভাবে যদি রাখতে পারেন, তা হলে মাংস কয়েক দিন ভাল থাকবে।
প্রতীকী ছবি।
রোদে শুকানো
মাংস মাঝারি সাইজের পিস করে কেটে ভাল করে জলে ধুয়ে নিন। তারপর ডুবো জলে সামান্য ফুটিয়ে নিন (অর্ধেকটা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত)। হয়ে গেলে জল ভাল করে ঝরিয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে একটি শিকে ঝুলিয়ে রোদে শুকোতে দিতে হবে। এ ভাবে শুকিয়ে রাখতে পারলে বহু দিন ভাল থাকবে মাংস। তবে ছাদ বা নিজস্ব উঠোন ছাড়া এ ভাবে মাংস শুকানো ঝামেলার। ভাল ভাবে রোদ না পেলে মাংসে জীবাণু হয়ে যেতে পারে।
কিউরিং
কিউরিং মানে যে কোনও জিনিস নুন মাখিয়ে রাখা। একটু সময় সাপেক্ষ হলেও বাড়িতে সহজেই করা যায় এই পদ্ধতি। মাংসের গায়ে অনেকটা মোটা করে নুনের স্তর লাগিয়ে রাখতে হবে। যাতে মাংসের জল টেনে বার হয়ে যায়। এতে জীবাণু জন্মানোর সম্ভাবনা কমে। অনেক সময়ে নুন, চিনি এবং জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়। যাকে বলে ব্রাইন। মাংস এই ব্রাইনে পুরোপুরি ডুবিয়ে রেখে দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy