প্রতীকী ছবি।
গরমের দিনে এসি-র মতো বন্ধু আর কে বা আছে! কিন্তু এমন শত্রুও যে হয় না, তা টের পাওয়া যায় মাসের শেষে। পকেট একেবারে ফাঁকা করে নেয় এসি-র বিল। ফলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও বিদ্যুতের বিলের চিন্তায় ঘাম হয় অনেকের।
তবে কী করা যেতে পারে? এই যন্ত্র ব্যবহার করা কি ছেড়েই দেবেন? তেমনও তো মন চায় না।
এসি-র বিল কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী এই যন্ত্র ব্যবহার করুন সেই নিয়ম মেনে। তা হলে গরমে কষ্ট পেতে হবে না। আবার মাসের শেষে কপালে ভাঁজও পড়বে না।
১) ২৪ ডিগ্রিতে এসি চালান। প্রতিটি যন্ত্রের ডিফল্ট তাপমাত্রা থাকে। এ বছরের শুরুতে তা ২৪ ডিগ্রি করতে বলেছে ব্যুরো অব এনার্জি এফিশিয়েন্সি। সেই মতো খবর গিয়েছে এসি উৎপাদনকারী বিভিন্ন সংস্থায়। ১৮ ডিগ্রির পরিবর্তে ২৪ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা রাখলে খানিক সাশ্রয় হয় বলে জানানো হয়েছে।
২) এসি চালানোর সময়ে ঘরের সব দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। তাতে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। দুপুরে এসি চালানোর সময়ে পর্দা টেনে রাখুন। যাতে রোদের তাপ না পৌঁছতে পারে।
৩) কম্পিউটর, ফ্রিজ, টিভি ঘরের মধ্যে চললে তাপমাত্রা বাড়ে। এসি চালানোর সময়ে এ ধরনের যন্ত্র বন্ধ রাখতে পারলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সুবিধা হবে।
৪) টানা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র চালিয়ে রাখবেন না। ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ করে দিন। তাতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে। কিছুক্ষণ পরে ঘরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে আবার এসি চালান।
৫) এসি-র সঙ্গে পাখাও চালিয়ে রাখুন। তা হলে ঘর ঠান্ডা থাকে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত। ফলে বেশ কিছুটা সময়ে এসি বন্ধও রাখতে পারবেন। বিদ্যুতের খরচ কমবে।
৬) নিয়মিত যন্ত্রটি পরিষ্কার করালেও লাভ আছে। এসি-র ভিতরে ময়লা জমে থাকলে তা ব্যবহার করার সময়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
ঠিক ভাবে এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে ৫০ শতাংশ পর্যন্তও খরচ কমানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy